শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

রাশিচক্র বিচারে কিভাবে অগ্রসর হবেন ?

রাশিচক্র বিচারে কিভাবে অগ্রসর হবেন ?

4+11+12+মঙ্গল= জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ

4+8+11+মঙ্গল- শনি= উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি প্রাপ্তি

উপরিউক্ত সাধারণ সূত্রাবলি সম্পর্কিত জ্যোতিষ অনুরাগীদের যে প্রশ্নগুলির সম্মুখীন আমাদের হতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন হল এগুলো আমরা কোথায় পাবো বা কিভাবে এগুলোকে দেখতে হয় বা এভাবে হয় নাকি বা কিছুই তো বুঝতে পারছি না প্রভৃতি  ---

তাহলে দেখাই যাক কি এর অন্তর্নিহিত অর্থ বা কিভাবে আমরা পাই বা এগুলির প্রয়োজনীয়তাই বা কোথায় ?

দেখা যাক কোনো জাতকের জমিবাড়ি সংক্রান্ত প্রশ্ন স্বাপেক্ষে আমরা কিভাবে অগ্রসর হবো ?

চতুর্থ ভাব থেকে বিচার্য বিষয় প্রাথমিক শিক্ষা, জমিবাড়ি, বিষয়সম্পত্তি, বাহন ও মাতা l

একাদশভাব নির্দেশ করে সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ l

অতএব আমরা বলতে পারি ---

চতুর্থপতি যদি একাদশে অবস্থিত হয় বা একাদশপতি যদি চতুর্থে অবস্থিত হয়

4+11= বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য

            মাতার সাফল্য/ সুসম্পর্ক

            বাহন লাভ

             জমিবাড়ি প্রাপ্তি

4+11+শনি=?


কি সর্বক্ষেত্রেই সাফল্য আসবে তো?

প্রথমেই আপনার মনে আসবে শনি delay র কারক, পাপগ্রহ, শনি দুঃখদাতা ---

*** অনেকেই হয়তো বলবেন সব গ্রহ ছেড়ে কেন শনিকেই রাখলেন  ---

মজার বিষয় হল জ্যোতিষ অনুরাগী অধিকাংশ মানুষের মনেই শনিকে নিয়ে ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার একটি অনুভূতি বিদ্যমান --- সকলেই শনির দৃষ্টি এড়িয়ে চলতে আগ্রহী বা স্বচেষ্ট হন যাতে শনিদেব কুপিত না হন l কিন্তু বিষয় হল  সত্যিই কি শনিদেবকে নিয়ে এরূপ ভাবনার কোনো কারণ আছে ?

 না, এরূপ ভাবনা সম্পূর্ণ অমূলক  --- শনিদেব / গ্রহরাজ যাই বলুন না কেন, তার ভূমিকা হল  আপনার প্রথম জীবনে তিনি শিক্ষক, পরবর্তীতে তিনি আপনার জীবনের কর্মকান্ডের পর্যবেক্ষক এবং শেষ জীবনে তিনি আপনার জীবনতরীর মাঝি l একমাত্র তিনিই আপনাকে হাত ধরে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের দ্বারে উপনীত করতে পারেন কিন্তু পারানি হিসাবে তিনি আপনার ইন্দ্রিয়জ ভোগসুখের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনার অন্তরে চেতনা ও উপলব্ধি বোধের সঞ্চারের মাধ্যমে আপনার জাগতিক ভোগসুখ স্পৃহাকে করায়ত্ব করে দুঃখ জ্বালা যন্ত্রণার কসাঘাতে শোধিত করে আপনার আত্মাকে করে তুলবে পরমাত্মার অংশ l শনিকে নিয়ন্ত্রণ করা মানে নিজের সাথে নিজের সাম্যতা রক্ষা /balance করা l এবিষয়ে পরে কোনো আলোচনায় বিশ্লেষণ করা যাবে এখন ফিরে আসি পূর্বোক্ত আলোচনায় l

এবার বলুন  ---

কি ধরবেন মাতার অসুস্থতা, না কি বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য আসবে না, না কি জীবনে বাড়ি গাড়ি হবে না?

ঠিক এই ধরণের প্রশ্নই তো বেশি দেখা যায় --- আমার মেষ লগ্ন চতুর্থে শনি

বাড়ি হবে কি না? বা গাড়ি হবে কি না?

বা ধরুন মেষ লগ্ন চতুর্থে মঙ্গল অর্থাৎ লগ্নপতি ও অষ্টমপতি মঙ্গল চতুর্থে

1+4+8+ মঙ্গল



একাদশের সংযোগ নেই --- তাহলে বাড়ি হচ্ছে না, না কি চতুর্থে মঙ্গল --- বাড়ি হবেই l

পরিষ্কার অর্থে কোনো ফলাদেশ সম্ভব নয় যদি না আপনি বিশেষ কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেন l

সঠিক জন্মসময় ও সঠিক তথ্য ব্যাতিত অর্থাৎ সম্পূর্ণ তথ্য ব্যাতিত ফলাদেশ বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে l

তাহলে এবার প্রশ্ন আসবে যাদের জন্মসময় ও তারিখ জানা নেই বা জন্মতারিখ জানা আছে  কিন্তু সময় জানা নেই, তারা কি তাদের প্রশ্নের উত্তর পাবেন না?

নিশ্চয়ই উত্তর পাবেন বরং প্রশ্ন স্বাপেক্ষে আরো সুনির্দিষ্ট উত্তর পাবেন l

কিন্তু কি ভাবে?

প্রশ্ন জ্যোতিষের মাধ্যমে ---

ফিরে আসি আলোচ্য বিষয়ে ---

ধরা যাক মেষ লগ্ন, চতুর্থে শনি

জাতকের প্রশ্ন বাড়ি হবে কি না?

মেষ লগ্ন স্বাপেক্ষে চতুর্থ ভাব কর্কট রাশি, কর্কট রাশিতে তিনটি নক্ষত্র আছে  --- পুনর্বসু, পুষ্যা ও অশ্লেষা, অধিপতি যথাক্রমে বৃহস্পতি, শনি ও বুধ l

শনি বৃহস্পতির নক্ষত্রে অবস্থিত হলে, বৃহস্পতি মেষ লগ্ন স্বাপেক্ষে নবম ও দ্বাদশ পতি হেতু

4+10+11+শনি+ 9+12+ বৃহস্পতি

অথবা 4+9+10+11+12+ শনি- বৃহস্পতি

বৃহস্পতি বিদ্যাশিক্ষার কারক গ্রহ ( secondary) হওয়ায় দ্বাদশভাব বিদ্যাশিক্ষায় বাধা নির্দেশ করলেও অর্থাৎ জাতকের বাধার মধ্যে দিয়েও বিদ্যাশিক্ষা হবে l

এবার নক্ষত্রপতি বৃহস্পতি না হয়ে শনি হলে শনি দশম ও একাদশ পতি হেতু

4+10+11+ শনি

যেহেতু চতুর্থ ভাব সম্পর্কিত বিচার --- আমরা বিদ্যাশিক্ষা বা বাহন বা জমিবাড়ি সংক্রান্ত সাফল্য বলতে পারবো না l

এবার নক্ষত্রপতি বুধ হলে ---

বুধ মেষ লগ্ন স্বাপেক্ষে তৃতীয় ও ষষ্ঠপতি হেতু

(4+10+11+ শনি)+( 3+6+ বুধ)

 অর্থাৎ 3+4+6+10+11+ শনি- বুধ

বিদ্যাশিক্ষার কারক গ্রহ বুধ

4+11+বুধবার শনি= বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য

3+ বুধ= চঞ্চলতা, স্মৃতিশক্তি

3+ শনি= ধৈর্য, স্থিরতা

ষষ্ঠ ভাব বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা মূলক বিষয়ে সাফল্য নির্দেশ করে

অর্থাৎ শনি বুধের নক্ষত্রে অবস্থিত হলে বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য আসবে l

এক্ষেত্রে 3 ভাবকে 4 ভাবের দ্বাদশ হেতু বিদ্যাশিক্ষায় চ্ছেদ ধরা যুক্তিযুক্ত নয় এবং 3+ শনি- বুধ জাতককে বিচক্ষণতা ও ধৈর্য প্রদান করবে l

এরপরেও কিন্তু আপনি জাতকের প্রধান প্রশ্নে পৌঁছাতে পারলেন না

কেন?

কারণ জাতক জানতে চেয়েছিলেন --- বাড়ি হবে কি না?

জমি বাড়ির বিচার করা হয় চতুর্থ ভাব হতে এবং কারক গ্রহ মঙ্গল l

চতুর্থ ভাবের সহিত মঙ্গলের প্রত্যক্ষ সংযোগ ব্যাতিত গৃহসম্পত্তির বিচারে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব l

অর্থাৎ রাশিচক্রে মঙ্গলের সহিত চতুর্থ ভাবের সম্পর্ক নির্ণয় করা প্রাথমিক কর্তব্য l --- মঙ্গল রাশিচক্রে কোথায় অবস্থিত এবং চতুর্থ ভাবের সহিত সম্পর্কিত কি না l 

এবার নিম্নোক্ত রাশিচক্রটি দেখুন --- মেষ লগ্ন, চতুর্থে শনি বৃহস্পতির নক্ষত্রে, বৃহস্পতি সপ্তমে তুলা রাশিতে মঙ্গলের নক্ষত্রে, মঙ্গল একাদশে কুম্ভরাশিতে বৃহস্পতির নক্ষত্রে l


রাশিচক্রে দেখা যাচ্ছে যে শনি ও মঙ্গল উভয় গ্রহই বৃহস্পতির নক্ষত্রে এবং মঙ্গল শনির ঘর কুম্ভে অবস্থিত অর্থাৎ মঙ্গল শনির সহিত সম্পর্কিত বা চতুর্থ ভাবের সহিত সম্পর্কিত l

মঙ্গল চতুর্থ ভাবের সহিত সম্পর্কিত হওয়ায় আমরা জাতকের গৃহসম্পত্তির বিচারে অগ্রসর হতে পারবো l

দশম ও একাদশ পতি শনি চতুর্থে ----

4+10+11+শনি

লগ্ন ও অষ্টমপতি মঙ্গল একাদশে বৃহস্পতির নক্ষত্রে শনির ঘর কুম্ভে ---

1+8+11+ মঙ্গল

অতএব, মঙ্গল-শনি- বৃহস্পতি 1+4+1+11+8+7+12 (লক্ষ্য করে দেখুন 11 ভাবের স্পন্দন 8 ভাব বা 12ভাব স্বাপেক্ষে অত্যন্ত জোরালো)

4+11+12+মঙ্গল= জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ

4+8+11+9+ মঙ্গল- শনি=উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি প্রাপ্তি ( মায়ের দিক থেকে প্রাপ্তিযোগ)

4+7+8+11+ মঙ্গল- শনি- বৃহস্পতি= স্ত্রীসূত্রে সম্পত্তি প্রাপ্তি

অর্থাৎ জাতকের গৃহ সম্পত্তি ভাগ্য অত্যন্ত শুভ l

তবে এপ্রসঙ্গে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে বা যে কোনো বিচারে অগ্রসর হওয়ার পূর্বে যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হল  ---

লগ্নের বলবত্তার বিচার সর্বাগ্রে দেখা প্রয়োজন কারণ লগ্ন যদি বলবান না হয় এবং ঘটনার স্পন্দন যদি  লগ্নের সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত না হয়  তবে ঘটনা ঘটবে না l 

তবে মনে রাখতে হবে যে ---

শনি যেহেতু চতুর্থে অবস্থিত এবং একাদশের ফলদাতা --- সেই কারণে প্রাপ্তিযোগ থাকলেও সম্পর্কিত সকল ভাবের ফল বিশেষত এক্ষেত্রে বহু বাধা বিপত্তি বা বিষয়গত দুশ্চিন্তার পর প্রাপ্তিযোগ ঘটবে এবং প্রাপ্তির সম্পূর্ণ কৃতিত্ব শনিই নিতে চাইবে l ফলস্বরূপ শনির সহিত প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পর্কিত গ্রহের বা শনির দশান্তর্দশায় বিশেষত শনির অন্তর্দশায় প্রাপ্তিযোগ ঘটবে যখন গোচরফলও অনুকূল হবে l

This is one of the stage of how to learn Vedic and Modified KP Astrology.

If you want to know more about Astrology lesson ---

Please comments and to get early notifications --- follow and share this article.



            


সরস্বতী যোগ বা বিদ্যাবুদ্ধি যোগ বা জ্ঞানবুদ্ধি যোগ

জ্যোতিষ শাস্ত্রে সরস্বতী যোগ বা বিদ্যাবুদ্ধি যোগ

বুধ বালক গ্রহ, তার মধ্যে বালক সুলভ চঞ্চলতা ও ব্যাক্তিত্বহীনতা লক্ষ্য করা যায় l বুধ বুদ্ধির পরিচয় জ্ঞাপক --- শুভ প্রভাবে জাতক জাতিকার বুদ্ধি বিশেষত উপস্থিত ভালো থাকে l বুধ বালক গ্রহ বলে সহজেই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়, এদের মধ্যে বিশ্লেষণী ক্ষমতা ভালো  হয় তবে অন্যকে অনুকরণ করা বুধের সহজাত ও স্বভাবসিদ্ধ আচরণ l বুধ কৌতূহলী, একসাথে অনেক বিষয় সে আয়ত্ব করতে চায় বা একই সময়ে একাধিক বিষয়ে সে মনোনিবেশ করতে সক্ষম অর্থাৎ একসাথে একাধিক কর্ম করা বা চিন্তা করার সহজাত দক্ষতা তার থাকে l মস্তিষ্কের নার্ভগুলি একই সাথে উত্তেজিত হওয়ার কারণে এটি ঘটে তবে একই কারণে sili mistake হওয়াটা অন্যতম কারণ l বুধ প্রভাবিত জাতককে দেখবেন অনায়াসে গান শুনতে শুনতে কঠিন অঙ্ক স্বাবলীলতার সাথে কষে ফেলে আবার ঐ একই জাতক পরীক্ষার সময় অতি দ্রুততার সঙ্গে উত্তরপত্র সম্পূর্ণ করে ফেললেও উত্তরপত্র পুনরায় মিলিয়ে দেখা তার ক্ষেত্রে অসম্ভব বিষয় অর্থাৎ পুনরায় মিলিয়ে দেখতে তার চূড়ান্ত অনীহা l বুধের জাতক মানেই ফাঁকি দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই কোনো বিষয়/ পড়াশোনা কিভাবে করায়ত্ব করা যায় তার চূড়ান্ত নিদর্শন l বুধ মানেই কোনো বিষয়ে গভীরতা না থাকলেও অতি সহজেই কিভাবে এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে switch over করা যায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ l

আবার বুধের স্বভাবের ঠিক বিপরীত দেবগুরু বৃহস্পতি, সে বয়োঃবৃদ্ধ পৌঢ়, তার মধ্যে প্রবল ব্যাক্তিত্ববোধ ও গুরুগম্ভীর শান্ত মেজাজী ভাব প্রবল l বুধ নির্দেশ করে বাহ্যিক বুদ্ধি ও টুকরো টুকরো জ্ঞান এবং বৃহস্পতি নির্দেশ করে অভ্যন্তরীণ প্রকৃত বিশুদ্ধ জ্ঞান --- যার দ্বারা প্রতিটি জীব ঈশ্বরের উপলব্ধি লাভ করে l বৃহস্পতির জাতক কখনোই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হন না বরং সদবাক্যের মাধ্যমে অন্যকে প্রভাবিত করে সদুপদেশের মাধ্যমে তার জীবনকে সঠিক এবং ঈশ্বর অভিমুখী করে তোলেন l বৃহস্পতির জাতক অন্যকে অনুকরণ করতে জানে না বরং নিজেস্ব স্বত্তায় তারা প্রস্ফুটিত l বুধের ন্যায় মনে এক মুখে আরেক --- এই ধরণের গুণাবলীর স্থান বৃহস্পতির কাছে নেই l বুধ বালকসুলভ চঞ্চলতা ও দুষ্ট বুদ্ধির তাড়নায় অন্যকে বিপথগামী করতে পারে কিন্তু বৃহস্পতি অন্যকে সর্বদাই সদুপদেশের মাধ্যমে জীবনের সঠিক পথে চালিত করে l বুধের ব্যাবসায়িক মানসিকতা প্রবল হলেও বৃহস্পতির মধ্যে ব্যাবসায়িক মানসিকতা অত্যন্ত কম l

এই তুল্যমূল্য পার্থক্যের কারণে বুধের দৃষ্টিভঙ্গিতে বৃহস্পতি শত্ৰু হলেও জ্ঞানের আধার পৌঢ় বৃহস্পতি বালকসুলভ বুধকে শত্ৰু হিসাবে গণ্যই করে না l

বুধ ও বৃহস্পতি রাশিচক্রে পরস্পর সহাবস্থান বা পরস্পর দৃষ্টির মাধ্যমে সম্পর্কিত হয়ে শুভ সম্পর্ক করলে    ( বিষয়টি/ উপরিউক্ত বাক্যটি যতটা সহজ দেখতে লাগলো আদপে তা নয় ---  " আপনি তো বললেন কিন্তু এই যোগ থাকা স্বত্তেও আমি তো কোনো ফল পাই নি " বা " কোনো এক জাতক স্বরসতী যোগ থাকা স্বত্তেও সম্পূর্ণ বিপরীত গুণাবলী সম্পন্ন --- কোনো ব্যাক্তি হয়তো জন্ম রাশিচক্র সহ উদাহরণ দেখিয়ে দিলেন " কি ব্যাখ্যা দেবেন --- হয় আপনাকে চুপ থাকতে হবে আর নয়তো বোঝাবার দায়িত্ব নিলে নিজের মানসিক স্থিতি নষ্ট হবে এবং সময়ের অপব্যাবহার করা হবে কারণ কখনোই এরা সঠিক যুক্তি খুঁজে দেখবে না বা চেষ্টাও করবে না l একটি রাশিচক্র স্বাপেক্ষে সরস্বতী যোগ সৃষ্টি হলেও সেটি কোথায় সৃষ্ট, কিভাবে বা অন্যান্য গ্রহ ও ভাব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে কতটা ফলদাতা এবং লগ্নের বলবত্তা স্বাপেক্ষে সম্পর্কিত যোগটি কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে সর্বাগ্রে সেটির মূল্যায়ন প্রয়োজন  )

আবার দেখবেন উপরিউক্ত নিয়মাবলী ব্যাতিত জাতক অনেক ক্ষেত্রেই রাশিচক্রে পৃথক স্থানে অবস্থান স্বত্বেও প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত বুধ- বৃহস্পতির সরস্বতী যোগের ফল পায়  --- কেন ও কিভাবে অন্যত্র আলোচনা করবো কারণ এক্ষেত্রে সরস্বতী যোগের সাধারণ ফলাফলই আলোচ্য বিষয় l

ফিরে আসি পূর্বোক্ত আলোচনায় ---

বুধ ও বৃহস্পতি রাশিচক্রে পরস্পর সহাবস্থান বা পরস্পর দৃষ্টির মাধ্যমে শুভ সম্পর্ক করলে --- জাতক জাতিকা বুধ- বৃহস্পতির প্রভাবে সঠিক চিন্তাধারা ও বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন, বিচক্ষণ ও জ্ঞানী হবে l বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন, জ্ঞানার্জনে উদ্যোগী, নিয়মানুবর্তী এবং সৃষ্টিশীল মানসিকতার হবে l সততা, নিষ্ঠা ও মানবতার ধর্মকে বজায় রেখে আত্মপ্রতিষ্টায় উদ্যোগী হবে l বিদ্যাবুদ্ধি সম্পন্ন এবং বাকচাতুর্যে পারদর্শী হওয়ার কারণে একাধিক বিষয়ে জ্ঞান থাকবে এবং বক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবে l সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মর্যাদা সহকারে উপদেশ/ জ্ঞানের বাণী বলার কারণে অন্য ব্যাক্তিরা কখনোই তা অগ্রাহ্য করতে পারবে না l এরা অন্যের মতামত গুরুত্ব সহকারে শুনবে এবং সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক উপদেশই প্রদান করবে l

আর অশুভ সম্পর্কে আবদ্ধ হলে  --- জাতক জাতিকার মধ্যে উপরিউক্ত সকল গুণাবলীর সমাহার ঘটলেও তার সঠিক প্রয়োগ করতে অসমর্থ হবেন l আত্মগর্বের কারণে বুদ্ধির ভুল করে বসবে, সর্বদা অহং ভাব তার বুদ্ধি নাশের কারণ হবে l গুরুজনদের সহিত মতপার্থক্য ও তর্ক হবে --- একে অপরকে নিয়মকানুন শেখাবে l উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ ও উপযুক্ত জ্ঞানের অভাবে আত্মমর্যাদা ও সম্মানহানি হবে l

লগ্নে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

জাতক জাতিকা বিদ্যাবুদ্ধি সম্পন্ন জ্ঞানী হবে এবং বোধশক্তি ভালো হবে l

দ্বিতীয়ে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

উচিত বক্তা, বাকচাতুর্যে পারদর্শিতা ও বুদ্ধির সহিত জ্ঞানপ্রদানকারী কথাবার্তার মাধ্যমে সহজেই অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে l 

তৃতীয়ে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

বিশ্লেষণাত্মক বুদ্ধি ও মেধাসম্পন্ন হবে l সর্বক্ষেত্রেই যুক্তি প্রয়োগ করবে l এই যোগ আইন ও তর্কবিদ্যা, সাংবাদিকতার নির্দেশক l একাধিক বিষয় প্রতিভাসম্পন্ন, বিচারশক্তি ও তীব্র অনুভূতি ক্ষমতা সম্পন্ন হবে l

চতুর্থে  অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

বিদ্যাশিক্ষার কারক গ্রহ বুধ ও বৃহস্পতি অর্থাৎ বিদ্যাশিক্ষায় স্বাভাবিক ঝোক এবং জাতক জাতিকা বিদ্যাবুদ্ধি জ্ঞানসম্পন্ন হবে l এই যোগ বিদ্যাকক্ষ, গ্রন্থাগার, পুস্তকের দোকান, বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিকট বসবাস, শিক্ষিত সমাজ বা পরিবেশে বসবাস নির্দেশ করে l এই যোগ বৃহৎ জমির অংশ নির্দেশ করে l

পঞ্চমে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

এই যোগে উপস্থিত বুদ্ধি ও মেধা প্রখর হয় l একাধিক পুত্রসন্তান বা সন্তান নির্দেশ করে l একাধিক নারীর প্রতি তবে পবিত্র ভালোবাসা নির্দেশ করে l

ষষ্ঠে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

এই যোগে বিদ্যাশিক্ষায় প্রতিযোগিতা, সন্তানের সহিত মামলা মোকদ্দমা/ শত্রুতা, একাধিক পেটের রোগ, stomach, liver, lungs এর সমস্যা নির্দেশ করে l 

সপ্তমে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

এই যোগে স্ত্রী বুদ্ধিমতী ও শিক্ষিতা হবে l অপরকে জ্ঞান বিতরণ করার প্রবণতা থাকবে l ছোটোখাটো গোলগাল বা নির্মেদ বড়সড় চেহারা নির্দেশ করে l

অষ্টমে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

এই যোগে জ্ঞানবুদ্ধির অপপ্রয়োগ, বুদ্ধির ভুলে আত্মমর্যাদা হানি, শিক্ষায় বাধা, প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া নির্দেশ করে l

নবমে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

উচ্চশিক্ষা - বিশেষতঃ আইনবিদ্যা, তর্কবিদ্যা, হিসাবশাস্ত্র নিয়ে উচ্চশিক্ষানির্দেশ করে l

দশমে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

এই যোগ জাতক জাতিকাকে রাজনীতিতে আগ্রহী করে তুলতে পারে l পেশা হিসাবে শিক্ষক, উকিল, ব্যাঙ্কের করণিক, judge, transcriptionist, translator প্রভৃতি নির্দেশ করে l

একাদশে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

বহুপ্রতিভার মাধ্যমে সাফল্য, জ্ঞান, বুদ্ধি, উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে সাফল্য নির্দেশ করে l ধনবান-জ্ঞানী ব্যাক্তি নির্দেশ করে l

দ্বাদশে অবস্থানকারী সরস্বতী যোগের ফলাফল ---

বিদ্যাশিক্ষায় চ্ছেদ বা দূরবর্তী স্থানে বিদ্যাশিক্ষা বা বিদ্যাশিক্ষার শাখা পরিবর্তন নির্দেশ করে l


This is one of the stage of how to learn Vedic and Modified KP Astrology.

If you want to know more about Astrology lesson ---

Please comments and to get early notifications --- follow and share this article.



বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

কারক গ্রহ সম্পর্কে কয়েকটি কথা এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে কারক গ্রহের ভূমিকা

কারক গ্রহ সম্পর্কে কয়েকটি কথা এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে কারক গ্রহের ভূমিকা

উদ্ভিদ অর্থাৎ একটি গাছের কারক গ্রহ কি হতে পারে ?

প্রাণিজগতের জীবনধারণের নিমিত্তে উদ্ভিদ হল প্রধান খাদ্যের উৎস বা বলা যায় খাদ্যশৃঙ্খলের খাদ্য-খাদক সম্পর্কের  ক্ষেত্রে প্রাণীসকলের জীবন উদ্ভিদের উপরই নির্ভরশীল l  উদ্ভিদের বেশ কয়েকটি অংশ আমরা দেখতে পাই l যেমন কান্ড  পাতা  ফুল, ফল, মূল বা শিকড় l

অনেক ক্ষেত্রই আপনি দেখবেন যে অনেকেই গাছের  কারক গ্রহ শুক্রকে ধরে l বলুন তো এটা ঠিক না ভুল ?

আপনি নিশ্চয়ই বলবেন ভুল --- কারণ গাছের কারক গ্রহ বৃহস্পতি l কিন্তু আমি বলবো  ---  কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা শুক্রকে সঙ্গে রাখতে পারি l কেন ও কখন পরে আসছি l

উদ্ভিদ বা গাছের মূল কারক গ্রহ বৃহস্পতি l

এবার যদি উদ্ভিদের অঙ্গবিভাগ দেখেন তাহলে কি দেখবেন  ---

ফুল মূলত উদ্ভিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে অর্থাৎ কারক গ্রহ  শুক্র

ফল --- কারক গ্রহ বৃহস্পতি

কান্ড  --- কারক গ্রহ বৃহস্পতি

মূল --- কারক গ্রহ শনি

বীজ --- কেতু l এবারেই প্রশ্ন উঠবে সব গ্রহ ছেড়ে কেতু কেন ? কেতুর কারকতা মনে করুন আর বীজ - এর কার্য মিলিয়ে দেখুন "বীজের মধ্যে নিহিত ভবিষ্যতের একটি মহিরুহ"--- অর্থাৎ বীজ হল আধার স্বরূপ l

এবার আসা যাক পাতায়, পাতাকে গাছের রান্নাঘর বলা হয় l অর্থাৎ বেঁচে থাকার নিমিত্তে উদ্ভিদের সকল শক্তির উৎস পাতা --- কারক গ্রহ নিশ্চিতরূপে মঙ্গল হওয়াটাই স্বাভাবিক l পাতার মাধ্যমেই উদ্ভিদ তার প্রয়োজনের নিমিত্তে রেচন কার্য পরিচালিত করে l এক্ষেত্রে মঙ্গল ও বৃশ্চিক রাশির কারকতা মনে করুন l

যখন উদ্ভিদের স্বীয় জীবন ধরণের নিমিত্তে তার সম্পূর্ণ কর্মকান্ড কল্পনা করবেন, তখন বুধের একটি সংযোগ নিশ্চিত রূপেই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন l

উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে আমরা কি দেখতে পাই ? 

আসবাবপত্র মূলত দ্বিতীয় ভাব ও স্থির রাশি হতে বিচার্য এবং উদ্ভিদের কারক গ্রহ বৃহস্পতি কিন্তু  আসবাবপত্র মৃত উদ্ভিদ থেকে তৈরি হয় l মৃত উদ্ভিদের কারক গ্রহ শনি অথচ আসবাবপত্রের মূল কারক গ্রহ হল শুক্র কারণ আসবাবপত্র অধিকাংশই দর্শনে চোখের তৃপ্তি দেয় বা সুন্দর - আকর্ষণীয় এবং জাগতিক সুখভোগের নিমিত্তে অত্যাবশকীয় সামগ্রী এবং অবস্থানও গৃহে l আসবাবপত্র আমাদের জীবনে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী কিন্তু যখন গৃহের আসবাবপত্রের সৌখিনতা জাতকের রুচি ও সামাজিক অবস্থাকে নির্দেশ করে তখন দ্বিতীয় ভাব স্বাপেক্ষে পঞ্চম ভাবের সংযোগ সহ চতুর্থ ভাব হতে আসবাবপত্রের বিচার করাটা সমীচীন  তবে দ্বিতীয় ভাবের স্পন্দন সর্বদাই অনেক জোরালো হবে l আশা করি চতুর্থ ভাব থেকে আসবাবপত্রের বিচারের কারণ অনুধাবন করতে পারলেন তবে বিচার্য চতুর্থ ভাব হতে আসবাবপত্রের বিচারের ক্ষেত্রে শুক্রের সংযোগের সহিত স্থির রাশির সংযোগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  কারণ স্থির রাশির জায়গায় চর রাশি হলে বাহন বা গাড়ি নির্দেশ করবে এবং দ্বাত্মক রাশি হলে দোলনা জাতীয় আসবাবপত্র নির্দেশ করবে l 

আসা যাক পতঙ্গভুক উদ্ভিদ সম্পর্কে --- পতঙ্গভুক অর্থে insects বা ছোটছোট কীটপতঙ্গকে খাদ্য হিসাবে এই জাতীয় উদ্ভিদ গ্রহণ করে অর্থাৎ মাংসাশী, স্বভাবতই মঙ্গলের একটি সংযোগ বৃহস্পতির সহিত থাকাটাই স্বাভাবিক l

বনসাই এর ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপায়ে উদ্ভিদকে অতি ছোট রূপ দেওয়া হয় l অর্থাৎ 3+8+বৃহস্পতি- শুক্র -কেতু 

3+8+বৃহস্পতি বোঝা গেলো কিন্তু এখানে শুক্র কেন ? --- এই উত্তরটি না হয় আপনাদের জন্যেই রইলো...



শনি গ্রহের ক্ষেত্রে যেমন তিনটি বলয় পরিলক্ষিত হয় অনুরূপে শনির জাতকের ট্রাজিক জীবনের ক্ষেত্রে ত্যাগ, তিতিক্ষা ও দুঃখ হলো তিনটি বলয় স্বরূপ  ---

শনি রাশিচক্রে  --- শুভ বা অশুভ বা শুভাশুভ যে ধরণের ফলদাতাই হোক না কেন, উপরিউক্ত বৈশিষ্টাবলি অবশ্যই পরিলক্ষিত হবে...

শনি একমাত্র গ্রহ --- যার জাতক সমাজের নিম্নস্তর থেকে সর্বোচ্চস্তর সর্বত্রই পরিলক্ষিত হয় (  ভিক্ষুক থেকে উচ্চ স্তরের যোগী সর্বত্রই শনির প্রভাব বর্তমান  ---  তবে তা শনির অশুভত্ব বা শুভত্বের উপর নির্ভরশীল )


 *** আর শনির জাতক অর্থে শনি যদি লগ্নবিন্দুর সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত হয় এবং শুভাশুভ ফল নির্ভর করে শনির নির্দেশনামা ও শনির সহিত সম্পর্কিত গ্রহসকলের নির্দেশনামার শুভাশুভত্বের উপর...


লগ্ন ভাবের সহিত শনির সংযোগের ফলাফল

লগ্নভাবের উপর শুভ শনির প্রভাবে জাতক ধৈর্যশীল, অধ্যবসায়ী, মিতাচারী, শান্ত, ধীরস্হির হয় l এদের মধ্যে একনিষ্ঠতা, আত্মমগ্ন, একাগ্রচিত্ত, একটানা পরিশ্রম করার ক্ষমতা, কোনও কিছুতে লেগেপড়ে থাকার ক্ষমতা, সাবধানতা, নিয়মনিষ্ঠ, সততা, শৃঙ্খলাপরায়ণতা, আত্মসংযমশীলতা, দ্বায়িত্ব- কর্তব্যপরায়ণতা লক্ষ্য করা যায় l এদের মধ্যে ভোগবাসনার আকাঙ্খা কম হওয়ায় জাতক রক্ষনশীল, সঞ্চয়ী মনোভাবাপন্ন, দার্শনিক চেতনাসম্পন্ন, আধ্যাত্বিক মার্গের জ্ঞানী, তপস্বী বা সন্নাসীও হতে পারে l এরা ধর্মের অনুশাসন ও সংস্কার মেনে চলে l

সাধারণত শনির প্রভাবে জাতক জাতিকা শ্রমশীল, গোপনীয়তাপ্রিয়, একটু অলস, কুঁড়ে, নিসঃঙ্গতাপ্রিয়, একাকিত্ব - নিরাবতাপ্রিয়, গতানুগতিক অপরিবর্তনীয় জীবনে বিশ্বাসী, পুরানো বিষয় ভুলতে না পারা, একই মত ও পথের বিশ্বাসী, ত্যাগমূলক মানসিকতা সম্পন্ন হয় l

শনি পাপগ্রহ রূপে কল্পিত হওয়ায় অশুভ ফলের মাত্রাই বেশি হয় - সেই কারণে লগ্নভাবের সহিত সম্পর্কযুক্ত অশুভ বা পীড়িত শনির প্রভাবে জাতকের প্রতিকূল জীবনযাত্রা, দুঃখকষ্ট, বাধাবিঘ্ন, চরম দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা নির্দেশ করে l এরা পরাধীনতার মধ্যে থাকতে ভালোবাসে বা অন্যের আদেশ নির্দেশ মেনে চলে l এদের হৃদয়ে রসের উৎস শুস্ক, জীবনের আনন্দ, ভোগ আকাঙ্খা বিশেষ থাকে না l কল্পনার কোনও স্থান এদের মধ্যে নেই - চরম বাস্তবকেই মেনে নেয়, কিছুটা জড়সড় প্রকৃতির হয় l নতুনত্বকে গ্রহণ করতে পারে না l এদের মধ্যে বিশেষ আশা-আকাঙ্খা থাকে না --- অল্পেই সন্তুষ্ট থাকে l অন্যের প্রতি নির্ভরশীল থাকে, উদাসীন, আবেগহীন, অসতর্ক হয় l এদের মনের মধ্যে হতাশা, নৈরাশ্য, বিষাদ, নিরানন্দময় অবস্থা, অসন্তোষ, পরনিন্দা-পরচর্চা করা, অন্যের ভালো না চাওয়া, সবকিছু ধীরগতিতে সম্পন্ন করা, অবসাদ, অলসতা, গাধার খাটুনির কাজ করা, স্বার্থপরতা, হিংসা, কুটিলতা, অনিশ্চয়তা, ভয়, অসাফল্য, নিরুৎসাহ, উত্তেজনাহীন, স্থূলবুদ্ধি, স্বাভাবিক বোধবুদ্ধি কম থাকে, বোকামি, নির্বুদ্ধিতা, মূর্খ, বোবা, অন্ধ, পঙ্গু, ক্লীব, জড়ভাবাপন্ন, সহজাত চিন্তাভাবনাহীন হয়ে থাকে l জীবনে বিশেষ সুযোগ আসে না, সব ব্যাপারে একটা বাধা কাজ করে l

লগ্নভাবের সহিত অশুভ শনি সম্পর্কিত হলে শনির প্রভাবে দীর্ঘ রোগাটে গড়ন, রুগ্ন অপুষ্ট লাবণ্যহীন চেহারা, ত্রুটিযুক্ত শারীরিক গঠন, শিরা ও হাড় বের করা স্বাস্থহীন চেহারা, বিষাদক্লিষ্ট লাবণ্যহীন অথবা কুৎসিত মুখমন্ডল, কালো ফ্যাকাসে গাত্রবর্ণ, কোটরাগত চক্ষু, অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো রোগা ও লম্বা, বয়সের তুলনায় এদের বেশি বৃদ্ধ দেখায় l এই ধরণের শারীরিক গঠনের লোকেদের অন্যেরা বিশেষ সন্মান ও গুরুত্ব দেয় না l শারীরিক অভিব্যক্তিতে কোনও আকর্ষণ থাকে না l জাতক অপরিছন্ন থাকতে ভালোবাসে l

 *** উপরিউক্ত ফলাফল ভাবের সহিত গ্রহের সাধারণ ফলাফল বিশেষত জ্যোতিষ শাস্ত্রের শিক্ষার্থীদের জন্যে আলোচিত l প্রিয় পাঠকবর্গ অনুগ্রহ করে উপরিউক্ত বৈশিষ্ট সমূহকে চূড়ান্ত বলে বিবেচনা করবেন না কারণ ফলাফল সঠিক ভাবে অঙ্কিত সম্পূর্ণ রাশিচক্রের গ্রহদের সহিত সম্পর্কিত অন্যান্য গ্রহ, ভাব ও রাশির বৈশিষ্ট্যর সমন্বয়ে নির্ধারিত হয় l কেবলমাত্র কোনো একটি ভাবস্থ বা রাশিতে অবস্থিত গ্রহের সাধারণ ফল ফলাদেশের অংশবিশেষ হলেও সম্পূর্ণ ফল নয় অর্থাৎ বিষয়টি সহজেই অনুমেয় যে "আমার ক্ষেত্রে আংশিক মিললো বা আমার তো কিছুই মিললো না" --- এ প্রসঙ্গে এই ধরণের উক্তি অপ্রাসঙ্গিক বা অপ্রয়োজনীয় l

একই রাশিতে একই বিন্দুতে অবস্থিত একটি গ্রহ তাহার সহিত সম্পর্কিত অন্যান্য গ্রহের ও ভাবের সমন্বয়ে ( অন্যান্য গ্রহের অবস্থান বা ভাবসকল পরিবর্তিত হলে ) বা একটি ভাবে বিভিন্ন বিন্দুতে অবস্থিত একটি গ্রহের (অন্যান্য গ্রহ ও ভাবের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকলেও )  সম্ভাব্য ফলের পরিবর্তন অসংখ্য হতে পারে ... সুতরাং রাশিচক্রে একই ভাবে বা একই রাশিতে একটি গ্রহ অবস্থান করলেও প্রত্যেক জাতক জাতিকার উক্ত গ্রহ সম্পর্কিত বৈশিষ্টবলীর বা ফলের তারতম্য হওয়াটাই স্বাভাবিক l

উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক একশত জাতক জাতিকার লগ্নে শনি অবস্থিত, তাহলে সকলের ক্ষেত্রে শনি কি একই ফল দেবে ?

না --- সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যগত মিল থাকলেও, শনির ভাববিন্দুগত অবস্থান বা রাশিগত অবস্থানের তারতম্য এবং শনির সহিত সম্পর্কিত অন্যান্য গ্রহ ও ভাবের সম্পর্কের পার্থক্য হেতু প্রতিটি জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে শনি প্রদেয় ফলের পার্থক্য থাকবেই ...




This is one of the stage of how to learn Vedic and Modified KP Astrology.

If you want to know more about Astrology lesson ---

Please comments and to get early notifications --- follow and share this article.



শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

ছন্নছাড়া যোগ( মঙ্গল- রাহু)


ছন্নছাড়া যোগ (মঙ্গল - রাহু যোগ)

জ্যোতিষ শাস্ত্রে রাহু- মঙ্গল যোগ বা ছন্নছাড়া যোগের সাধারণ ফলাফল ( কেবলমাত্র জ্যোতিষ শিক্ষার্থীদের জন্যে আলোচিত )

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মঙ্গল ও রাহু উভয়েই পাপগ্রহ এবং পরস্পর পরস্পরের শত্ৰু বলে রাশিচক্রে এদের সংযোগ সাধারণত শুভ সম্পর্ক সৃষ্টি না করে অশুভ ফলই প্রদান করে l রাশিচক্রে গ্রহদ্বয় পরস্পর একই রাশিতে অবস্থান করলে বা দৃষ্টির মাধ্যমে সম্পর্কিত হলে  --- গ্রহদ্বয় তাদের কারকতার মিলিত ফল প্রদান করে l রাশিচক্রে এই ধরণের যোগকে ছন্নছাড়া যোগ বলে অভিহিত করা হয় l

রাহু- মঙ্গল অশুভ যোগে জাতক জাতিকা উশৃঙ্খল স্বভাবের হয় l সব বিষয়ে adament ও desparate হয় l কারো কথা বিশেষ গ্রাহ্য করে না, স্বাধীনতাপ্রীয় নিজের মতানুসারে চলতে পছন্দ করে l এদের মনে ভয়ভীতি, লজ্জা ঘৃণার কোনো স্থান নেই l সৎ ইচ্ছা, সৎ প্রবৃত্তি, সৎ কামনা, সৎ কাজের স্থান এদের মধ্যে নেই বললেই চলে l কার্যসিদ্ধির জন্যে এরা অন্যের কাছে মাথা নত করতেও দ্বিধাবোধ করে না l এরা ভোগী, অত্যাচারী, পাপি হয় l ধর্ম, অধ্যাত্বিকতা, মনুষত্ব, সততা প্রভৃতি শব্দগুলির স্থান এদের মনের অভিধানে নেই l অন্যকে এরা মানসিক ও শারীরিক পীড়া প্রদান করে মানসিক পরিতৃপ্তি লাভ করে l অসৎ নৃশংস কাজ, খুন, জখম, শ্লীলতাহানি প্রভৃতি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে l মস্তানি, গুন্ডাগিরি এদের স্বভাবসিদ্ধ l বিশেষ করে রাহু - মঙ্গল যোগ অষ্টম ভাবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলে এই ধরণের অশুভ ফলগুলি প্রকাশ পায় l ইহা ব্যাতিত এই যোগ জীবনে বড় ধরণের ঝুকি, হটাৎ বিপদ, দুর্ঘটনা, আঘাত প্রাপ্তি প্রভৃতি নির্দেশ করে l

রাহু - মঙ্গলের এই অশুভ যোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে যদি বৃহস্পতি দ্বারা শুভ দৃষ্টিপ্রাপ্ত হয় l

এছাড়া সিংহরাশি, ধনুরাশি, মীনরাশি, কুম্ভরাশিতে এই যোগের অশুভ মাত্রা দমিত হয় l

লগ্নে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

এই যোগে জাতক জাতিকার স্বভাব চরিত্র হয় উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন ও উগ্র রুচিসম্পন্ন, রাগ- জেদ- তেজ হবে ভয়ঙ্কর, বেপরোয়া, উশৃঙ্খল l অগ্র পশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে l

দ্বিতীয়ে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

জাতক কথাবার্তায় rough language ব্যবহার করবে l উগ্রতার সহিত, চিৎকার করে বা গলাবাজি করে argumental tendency নিয়ে কথা বলবে, খাবার দাবার বিষয়ে অসংযমী হবে, উত্তেজক খাদ্য, মুখরোচক খাদ্য, মসলাদার খাদ্য খেতে পছন্দ করবে l অর্থ আয়ের ব্যাপারে হবে উদ্যোগী, সৎ-অসৎ যে কোনো উপায়ে উপার্জিত ধন নির্দেশ করে l ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় থেকে উপার্জনের ঝোক থাকে l অর্থ ব্যায়ের ব্যাপারে বেহিসাবী ও অসংযমী হয় l হটকারী সীদ্ধান্তের ফলে ব্যায় নির্দেশ করে l

জাতক মিথ্যাভাসনে অভ্যস্ত হয় l

তৃতীয়ে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

এই যোগে জাতকের রাগ, জেদ, তেজ সাহস বেশি থাকে l কাউকে মান্য করবে না l সাহসিকতার সঙ্গে যুক্ত কাজ নির্দেশ করে l ভাতৃস্থানীয়দের সহিত শত্রুতা ও পাড়াপ্রতিবেশীর সহিত ঝামেলা নির্দেশ করে l

চতুর্থে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

এই যোগে ভাতৃস্থানীয়দের সাথে গৃহভূমি নিয়ে ঝামেলা, বেনামি জমি ভোগদখল ও স্বত্বাধিকার l বিদ্যাশিক্ষায় অহেতুক ঝামেলা, পড়তে না চাওয়া, জেদী ও বেপরোয়া হওয়ার জন্যে বিদ্যাশিক্ষায় আত্মক্ষতি l এদের বিদ্যাশিক্ষার প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে না, বিদ্যাশিক্ষার বদলে মারদাঙ্গা, বদমায়েশি, দলবাজি প্রভৃতি অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে l এদের মধ্যে দয়া, মায়া বোধ কম থাকে l মায়ের সহিত সম্পৰ্ক বিশেষ ভালো হয় না l অনেক সময় জাতকের মাতা উগ্র, রাগী ও জেদী প্রকৃতির হয় l জাতক গৃহপরিবেশে অশান্তির মধ্যে দিন অতিবাহিত করে l জাতকের বাসগৃহের নিকটবর্তী এলাকায় অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ চলতে পারে এবং জাতক নিজে কিছুটা অসামাজিক প্রকৃতির হয়ে থাকে l

পঞ্চমে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

এই যোগে সাধারণত পুত্রসন্তান নির্দেশ করে l প্রেম প্রীতির স্থান এদের হৃদয়ে নেই বললেই চলে l ভোগসর্বস্ব জীবন পছন্দ করে l প্রেমের ব্যাপারে বেপরোয়া স্বভাবের ও সাহসী হয় l খোলামেলা ভাবে অন্যায় পথে বা অবৈধ উপায়ে মেলামেশা পছন্দ করে l শরীরচর্চা বা ঝুঁকিপূর্ণ খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ থাকবে l

সন্তান সাধারণত বেপরোয়া প্রকৃতির হয় l

ষষ্ঠে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

হঠাৎ করে উৎপন্ন রোগ নির্দেশ করে l অসংযমের ফলে বা উত্তেজক খাদ্য থেকে এদের রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে l রোগভোগের মধ্যে পেশিতে সমস্যা, পিত্ত্যাধিক্য, গ্যাসের সমস্যা, আঘাত জনিত পীড়া, তীব্র জ্বালা যন্ত্রনাদায়ক ব্যাধি, ঘা, পুড়ে যাওয়া, কলেরা, বসন্ত টাইফয়েড প্রভৃতি ব্যাধি নির্দেশ করে l

অন্যের সহিত অকারণে শত্রুতা, মামলায় জড়িয়ে পড়া নির্দেশ করে l

সপ্তমে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

এই যোগে জেদী তেজী স্বভাব সম্পন্ন জীবনসঙ্গী/ সঙ্গিনী হবে, অকারণে বা অল্পেই ঝগড়া ও মনোমালিন্য হবে l উশৃঙ্খল যৌনজীবন বা যৌনতার ক্ষেত্রে সঙ্গী/ সঙ্গিনীকে জোর করা বা সঙ্গীর উপর পাশব অত্যাচার নির্দেশ করে l জীবনসঙ্গী/ সঙ্গিনী হবে স্বাধীনতাপ্রিয় ও বেপরোয়া প্রকৃতির l

অষ্টমে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

এই যোগে জাতক অসামাজিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, দাঙ্গাকারী বা অত্যাচারী হবে l ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাজ, গুণ্ডা মস্তান, আঘাত, দুর্ঘটনা, রক্তপাত, অস্বাভাবিক মৃত্যু নির্দেশ করে l নিচ প্রকৃতির, কলহপ্রিয়, পুলিশি ঝামেলা, বিবেকহীন, নৃশংস মনোভাব, অন্যকে উৎপীড়ন করা, খুন জখম, চারিত্রিক দোষ, মাদকাসক্ত অবস্থা, সংগ্রামময় জীবনযাপন, নিজের ভালোমন্দ বুঝতে না পারা, নাশকতামূলক কর্মে লিপ্ত থাকা, নোংরা মনোভাব, অবৈধ ক্রিয়াকলাপের সহিত যুক্ত থাকা নির্দেশ করে l

নবমে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

জাতক অসাধু ও নাস্তিক প্রকৃতির হয়, গুরুজনদের সাথে বিবাদ, ভাগ্যের উত্থান পতন ও নিজ দোষে ভাগ্যবিপর্যয় নির্দেশ করে l

দশমে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

অসৎ উপায়ে কর্মরত, নিচ মন্দ ও নিন্দনীয় প্রকৃতির কর্মে লিপ্ত, গুন্ডাগর্দি, ছিনতাই, রাহাজানি, black mailing, মিথ্যার আশ্রয়ে উপার্জন, চিট করা, অসাধু চোরা কারবার, পাচারকারী, কাটমানি, হপ্তাতলা/তোলাবাজি, ধারালো অস্ত্রশস্ত্রের কারবারি, মার্ডারার, নকল টাকা ছাপানো, অস্ত্র পাচার, সুপারি কিলার প্রভৃতি নির্দেশ করে l

এই যোগের সাথে পীড়িত শুক্র যুক্ত হলে মহিলা পাচারকারী, মাদকদ্রব্য পাচারকারী, নারীর দালাল, যৌনকর্মী  হওয়ার সম্ভবনা থাকে l

একাদশে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

মঙ্গল-রাহু যোগ সাফল্য ও শুভ ফল প্রদান করে l

দ্বাদশে ছন্নছাড়া যোগের ফলাফল ---

এই যোগে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, রেপ ছিনতাই প্রভৃতি কর্মে লিপ্ত এবং পুলিশি ঝামেলায় জেল হাজতবাস নির্দেশ করে l

উপরিউক্ত ফলাফল ছন্নছাড়া যোগের সাধারণ ফলাফল l যে সকল ব্যাক্তির জন্মছকে ছন্নছাড়া যোগ বর্তমান তাহারা সবাই কিন্তু একইরকম ফলাফল পাবেন না l কোনো কোনো রাশিচক্রে দেখা যাবে ছন্নছাড়া যোগ থাকা স্বত্তেও জাতক সেই অর্থে অশুভ ফল পেলো না বরং জীবনে অসাধারণ উন্নতি সাধনে সমর্থ হল  বা কোনো ব্যাক্তির জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠলো l

কেন এই বৈপরীত্য ?

বিষয়টি হল একটি জন্মছকে ভালো বা খারাপ যেকোনো যোগ থাকার অর্থ কেবলমাত্র যোগের ফল জাতক ভোগ করবে তা নয়,  সম্পূর্ণ রাশিচক্রের গ্রহসন্নিবেশের উপর ফলাফল নির্ধারিত হয় যে কারণে একই রকম যোগ থাকা স্বত্তেও একজনের জীবন বিষময় হয়ে উঠলেও অন্যজনের ক্ষেত্রে তা জগৎবিখ্যাত করে তুলতে পারে l অর্থাৎ জন্মছকে শুভযোগ দেখেই যেমন উৎফুল্ল হওয়ার  কোনো কারণ নেই ঠিক তেমনই ছন্নছাড়া যোগ বা যে কোনো অশুভ যোগ দেখেই আতঙ্কিত হওয়াটাও অমূলক l পরবর্তীতে এধরণের আলোচনা বিস্তারিত ভাবে করার ইচ্ছা রইলো l



This is one of the stage of how to learn Vedic and Modified KP Astrology.

If you want to know more about Astrology lesson ---

Please comments and to get early notifications --- follow and share this article.