Astrology online লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Astrology online লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

Rullings of education in KP Astrology

         LEARN KP ASTROLOGY 

    (  Education in Astrology)

           Lesson 3   ( part - 1)

Rullings of education in KP Astrology

জ্যোতিষে বিদ্যাশিক্ষার বিচার করা হয় মূলত চতুর্থ ভাব ও বুধ হতে ---

শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যে সব প্রশ্ন ওঠে তা হল ---

* জাতক বিদ্যাশিক্ষায় মনোযোগী হবে কি না?

* জাতকের বিদ্যাশিক্ষার সম্ভবনা আছে কি না?

* জাতকের প্রাথমিক না উচ্চশিক্ষা --- কোনটা হবে?

* জাতক বিদ্যাশিক্ষায় বৃত্তি লাভ করবে কি না?

* জাতক উচ্চশিক্ষার জন্যে বিদেশ যাবে কি না?

* জাতক কোন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করবে?

চতুর্থ ভাব হতে যে যে বিষয়ের বিচার করা হয় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল --- মাতা, জমি-বাড়ী, গাড়ি ও প্রাথমিক শিক্ষা l প্রত্যেকটি বিষয়ের বিচারের জন্যে চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করতে হয় l চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহ ও তাহার সহিত সম্পর্কিত গ্রহদের নির্দেশনা থেকে উপরিউক্ত বিষয়গুলির বিচার করা হয় l

এক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয় বিদ্যাশিক্ষা, বিদ্যাশিক্ষার কারক গ্রহ বুধ ও বৃহস্পতি l অর্থাৎ চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহটি বুধ বা বৃহস্পতি হলে অথবা সাবলর্ড গ্রহটি বুধ বা বৃহস্পতির নক্ষত্রে অবস্থিত হলে বা গ্রহটির সাবপতি বুধ বা বৃহস্পতি হলে অথবা চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহটি কোনওপ্রকারে বুধ বা বৃহস্পতির সহিত সম্পর্কিত হলে, বিদ্যাশিক্ষার নির্দেশক হয় l চতুর্থ ভাব হতে প্রাথমিক শিক্ষা, নবম ভাব হতে উচ্চশিক্ষার বিচার করা হয় l

4 th cuspal sublord  ও 9 th cuspal sublord গ্রহ কোনোপ্রকারে বুধের সহিত সম্পর্কিত হয়ে 11 th cuspal sublord গ্রহের সহিত সম্পর্কিত হলে অর্থাৎ 4 -11/ 4-9-11 র নির্দেশক হলে জাতকের বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য লাভ হয় l

চতুর্থ ভাবের সহিত ষষ্ঠ ভাব এবং একাদশ ভাবের সম্পর্ক থাকলে জাতক বিদ্যাশিক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবে l চতুর্থ, নবম  ও একাদশ ভাবের সহিত কোনও ভাবে সম্পর্কিত গ্রহ বিদ্যাদান করে l

 4 th cuspal sublord গ্রহের নির্দেশক কোনও প্রকারে 4, 11, 3, 5, 8 হলে জাতকের বিদ্যার্জনে সাময়িক বিরতি আসতে পারে l কারণ ---

*  3 য়, 5 ম, 8ম ভাবস্থ গ্রহ

* 3 য়, 5 ম, 8ম ভাবপতির নক্ষত্রস্থিত গ্রহ

* 3 য়, 5 ম, 8ম ভাবস্থ গ্রহের নক্ষত্রে অবস্থিত গ্রহ

* 3 য়, 5 ম, 8ম  ভাব নির্দেশক গ্রহের দশান্তর্দশায় জাতকের বিদ্যাশিক্ষায় বিরতি আসতে পারে l 3 য়, 5 ম, 8ম ভাব নির্দেশক গ্রহ বিদ্যাশিক্ষায় বাধা প্রদান করে l




Related House and planet for education


বিদ্যাশিক্ষার বিচার হয় মূলত 4 th ভাব ও বুধ থেকে l কিন্তু শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের আলোচনার জন্যে বুধ ছাড়াও বৃহস্পতি, চন্দ্রকেও পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন হয় l চন্দ্র, বুধ, বৃহস্পতি হল বিদ্যাকারক গ্রহ l এছাড়াও প্রত্যেকটি গ্রহই বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত l

শিক্ষা ক্ষেত্রে গ্রহদের কি ভূমিকা  ---

চন্দ্র --- শিক্ষার ইচ্ছা, শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি

বৃহস্পতি --- উচ্চশিক্ষা ও জ্ঞানলাভ

রবি --- মেধা, প্রতিভা, বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে সন্মান

শুক্র --- শুক্র হল শুভগ্রহ, যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত যুক্ত ভাবগুলির ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় সেক্ষেত্রে কলা, শিল্প, রসায়নবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে আগ্রহ ও সাফল্য প্রদান করে l

মঙ্গল --- মঙ্গল যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত সম্পর্কিত ভাবগুলির ও একাদশের নির্দেশক  হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যার্থীর পূর্ণ উদ্যম ও উদ্দীপনার মাধ্যমে স্বীয় প্রচেষ্টায় বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করে ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে l

শনি --- প্রথাগত শিক্ষায় শনির গুরুত্ব না থাকলেও শনি যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাব ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় তবে জাতক ধৈর্য,পরিশ্রম ও একাগ্রতার দ্বারা বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হন l শুভ শনি জাতকের অধ্যাত্বিকতা ও দর্শন শাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ সহায়ক l

বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে রাহুর গুরুত্ব  ---

রাহু --- বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে সবচাইতে ক্ষতিকারক অথচ গুরুত্বপূর্ণ  গ্রহটির নাম রাহু l যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির নির্দেশক হয়ে অশুভ স্পন্দন যুক্ত হয়            ( বিশেষত অষ্টম বা দ্বাদশের) বা অশুভ ভাবের নির্দেশক হয়ে বুধ বা চন্দ্রের সহিত সম্পর্কিত হয় তবে বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, চাঞ্চল্য ও বিশৃঙ্খলার কারক গ্রহ হিসাবে জাতককে বিদ্যাশিক্ষায় মনোনিবেশ করতে বাধা প্রদান করে এবং অসৎ সঙ্গদোষে বিদ্যার্জনে চ্ছেদও ঘটতে পারে l আর শুভ হলে অর্থাৎ বিদ্যাশিক্ষার সহযোগী ভাবের ও একাদশের জোরালো নির্দেশক হলে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় বিশেষ করে ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার নিয়ে উচ্চশিক্ষার সহায়ক হয়ে ওঠে যদি শুভ শনি বা বৃহস্পতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় l বর্তমান বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে রাহু ব্যাতিত সকল অগ্রগতি অচল তবে রাহু যেমন সাফল্য দেয় ঠিক সাফল্যের পাশাপাশি জাতককে কিছু দোষত্রুটিও ফ্রি হিসাবে দিয়ে দেয় যা তাঁদের ক্ষেত্রে সুখশান্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় l

কেতু --- কারকতা প্রধানত বাধাপ্রদান হলেও বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির শুভ নির্দেশক ও একাদশের নির্দেশক হলে অঙ্কশাস্ত্রে, জ্যোতিষ শাস্ত্রে অসাধারণ বুৎপত্তি প্রদান করে l


এবার দেখা যাক বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ভাবের ভূমিকা ---

লগ্নভাব = সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল খুঁটিস্বরূপ l লগ্ন জাতকের কৃতিত্বের ও প্রতিষ্টার কারক, লগ্নের sublord নির্দেশ করে জাতক অলস না পরিশ্রমী l

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, চতুর্থ ভাবের একাদশ স্থান বা চতুর্থ ভাবের পূর্তিস্থান l

তৃতীয়ভাব = বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনায় মনোযোগ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা, ও উদ্যম নির্দেশ করে l তৃতীয় ভাব চতুর্থ ভাবের দ্বাদশ স্থান হিসাবে বিদ্যাশিক্ষার বিরতি সূচক l বিশেষ বিষয়ে আগ্রহ বা পত্রাচার মাধ্যমে বিদ্যাশিক্ষার নির্দেশকও l

চতুর্থ ভাব = প্রাথমিক শিক্ষা, স্মৃতিমূলক বিদ্যা, বিদ্যালয় বা কলেজে নিয়মিত উপস্হিতির মাধ্যমে শিক্ষালাভ নির্দেশ করে l

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা নির্দেশ করে l

ষষ্ঠভাব = উপচয় ভাব, শ্রমের নির্দেশক, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য নির্দেশ করে l

নবম ভাব = উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা নির্দেশ করে l

একাদশ ভাব = প্রচেষ্টায় সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ নির্দেশ করে l

অর্থাৎ জাতকের বিদ্যাশিক্ষার বিচারের ক্ষেত্রে লগ্ন, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ট, নবম ও একাদশ ভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ l


একজন সংগীত শিল্পীর

সংগীতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভাবসমূহ ---

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, পঞ্চমভাবের দশমস্থান বা

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা, কল্পনা, শিল্পীসুলভ প্রতিভা, খেলাধুলা, গানবাজনা, রুচি ও সৌন্দর্যবোধ প্রভৃতি

একাদশভাব = প্রচেষ্টার সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ

তৃতীয়ভাব = মনোযোগ, একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি, মানসিক প্রবণতা নির্দেশ করলেও সংগীত চর্চার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তৃতীয় ভাব নির্দেশিত শরীরের অংশে গলা

দশম ভাব = কর্ম, জীবিকা, পেশা, নাম- যশ -খ্যাতি

বর্তমান সময়কালে শিশুসন্তান বিশেষত কন্যাসন্তানের ক্ষেত্রে ( পুত্রসন্তানের ক্ষেত্রে option গুলি একটু পৃথক আর আলোচনাও অন্যত্র করা যাবে ) পিতামাতার ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকে শিশুকাল থেকেই বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি তাকে নাচ শেখানো বা গান শেখানো বা সাঁতার শেখানো সঙ্গে অঙ্কন শিক্ষা তো আছেই যদিও অঙ্কন শিক্ষা বর্তমানে বিদ্যাশিক্ষা চর্চার একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে এবং  বর্তমানে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির কনসেপ্টে সন্তানের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অঙ্কনের গুরুত্ব অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই l তবে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করলে আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন যে অধিকাংশ পিতামাতাই তাদের জীবনের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলিকে সন্তানের মধ্যে দিয়ে পরিপূরণে উদ্যোগী হন বা  সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার নিমিত্তে সন্তানকে রোবট কল্পনা করে বা পরীক্ষা নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে সন্তানকে গিনিপিক বানিয়ে সাফল্যের ইঁদুর দৌঁড়ে সামিল করে দেন l সাফল্যের পিছনে ছুটতে গিয়ে সন্তানের ইচ্ছা, চাহিদা, আবদার, ভালোবাসা নামক শব্দগুলির সাথে শৈশবটাও হারিয়ে যায় l বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিতামাতা সাফল্যের তাড়নায় একটি শিশুর দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানের ভালোলাগা বা চাহিদার হিসাব করতে ব্যার্থ হন ফলস্বরূপ সন্তান অবাধ্য, বিদ্যাশিক্ষায় অমনোযোগী, মানসিক অবসাদ, জেদী, behavioral problem , সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্তি, একাকিত্ব বোধ প্রভৃতি সমস্যার সূত্রপাত l

অতঃপর পিতামাতার ছোটাছুটি শুরু হয় মনোবিদের কাছে ( psychiatrist ) নয়তো জ্যোতিষীর কাছে l শুরু হয় counseling, test, medicine ---

আর জ্যোতিষীর ক্ষেত্রে সমস্যা আরো জটিল  --- অধিকাংশ পিতামাতাই সরাসরি জ্যোতিষী মহাশয়ের নিকট আবেদন করে বসেন যেভাবেই হোক সমস্যার সমাধান করে দিন l

মজাটা এখানেই --- " কি ভাবেন  একজন জ্যোতিষীকে ---  মানুষ না ঈশ্বরের সমতুল্য কোনো ব্যাক্তি না কি ঈশ্বরেরও উর্দ্ধে "

একজন জ্যোতিষীও মানুষ --- জ্যোতিষ শাস্ত্র চর্চাটা তার কাছে একপ্রকার সাধনা, তিনিও সর্বশক্তিমান স্রষ্টা ঈশ্বরে সমর্পিত...

একজন জ্যোতিষীর প্রাথমিক ও প্রধান কাজই হল জাতকের রাশিচক্র অঙ্কন স্বাপেক্ষে তার ভবিষ্যত জীবনের সঠিক রূপরেখা নির্দেশ করে সাফল্য প্রাপ্তির নিমিত্তে প্রারব্ধ কর্মফল স্বাপেক্ষে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যাবলী (গুণাবলীকে) নির্দেশ করা ও তার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সাফল্য প্রাপ্তির জন্যে প্রয়োজনীয় counseling করা l

অর্থাৎ একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষী অনায়াসেই কোনো জাতকের জন্মবৃত্তান্ত বা প্রশ্ন স্বাপেক্ষে তার ভবিষ্যত জীবনের সাফল্য প্রাপ্তির পথ বা দিকটি নির্দেশ করতে পারেন l

আসুন দেখা যাক কিভাবে ---

ধরা যাক একটি কন্যা সন্তান l জন্মের পরেই সকল পিতামাতাই স্বচেষ্ট হয়ে ওঠেন ডাক্তারের পরামর্শ মতন সন্তানকে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বড় করে তুলতে এবং এটি প্রত্যেক পিতামাতারই অবশ্যকর্তব্য l ইতিমধ্যে সন্তানকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় পিতামাতার স্বপ্ন দেখা, সন্তানকে মানুষ করার পাশাপাশি তাকে সফল দেখতে কে না চায় ? অবচেতন স্বত্তায় নিজেদের অপরিপূর্ণ ইচ্ছাগুলি সন্তানের মধ্যে দিয়ে সাফল্যমন্ডিত করার এক সুপ্ত প্রয়াস পিতামাতার মধ্যে সৃষ্টি হয় l অর্থাৎ ভালো লেখাপড়া, গানবাজনা, নাচ, খেলাধুলা সবেতেই সন্তানকে সফল হতে হবে l সাফল্য - আরো সাফল্য - আরো আরো সাফল্যের তাড়নায় সন্তানের লড়াইটা কখন যেন পিতামাতার লড়াইয়ে রূপান্তরিত হয়ে যায় l ফলস্বরূপ সন্তানের ভালোলাগা- মন্দলাগা বিষয়গুলি আর প্রাধান্য পায় না, এমতবস্থায় পিতামাতারও আর একটি শিশুর দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানের পছন্দ - অপছন্দ, ভালোলাগা- মন্দলাগা র বিষয়গুলিকে গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করেন না l জানতেই চান না বা জানার আর অবকাশই থাকে না যে সন্তান কোন বিষয়ে সাবলীল বা কোন বিষয়টার সাথে তার ভালোলাগার প্রলেপ জড়িয়ে আছে, ফলস্বরূপ হতাশা, মানসিক অবসাদ...

আলোচনাটি যেহেতু জ্যোতিষ শাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে তাই আমি আলোচনাটি জ্যোতিষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছি ---

আপনি চাইছেন সন্তান নাচ শিখুক, গান শিখুক, সাঁতার শিখুক এবং অঙ্কনেও পারদর্শী হোক, এর সাথে সাথে লেখাপড়ায়ও rank করুক l

যদি বলি কেন ? সন্তানকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে না কি আপনাদের অপরিপূর্ণ ইচ্ছাগুলোকে সফলতার সাথে পূর্ণ হতে দেখার জন্যে না কি সন্তানের সাফল্যে অন্যদের comments শুনে আত্মতৃপ্তি লাভের উদ্দেশ্যে --- কোনটা সঠিক না কি সবকটিই ?

এক্ষেত্রে একটি কথা কিন্তু আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত সফল মানুষ হওয়ার চাইতেও জরুরি প্রকৃত মানুষ হওয়া l

ফিরে আসি পূর্বোক্ত আলোচনায়---

প্রথমে আসি বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্যের জন্যে কি প্রয়োজন ---

বিদ্যাশিক্ষার বিচার করা হয় চতুর্থ ভাব ও নবম ভাব হতে l চতুর্থ ভাব নির্দেশ করে প্রাথমিক শিক্ষা এবং নবম ভাব নির্দেশ করে উচ্চশিক্ষা l সহায়ক ভাব হিসাবে দ্বিতীয় ভাব,  তৃতীয় ভাব, পঞ্চম ভাব, ষষ্ঠ ভাব ও একাদশ ভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে l

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, চতুর্থ ভাবের একাদশ স্থান বা চতুর্থ ভাবের পূর্তিস্থান l

তৃতীয়ভাব = বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনায় মনোযোগ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা, ও উদ্যম নির্দেশ করে l তৃতীয় ভাব চতুর্থ ভাবের দ্বাদশ স্থান হিসাবে বিদ্যাশিক্ষার বিরতি সূচক l বিশেষ বিষয়ে আগ্রহ বা পত্রাচার মাধ্যমে বিদ্যাশিক্ষার নির্দেশকও l

চতুর্থ ভাব = প্রাথমিক শিক্ষা, স্মৃতিমূলক বিদ্যা, বিদ্যালয় বা কলেজে নিয়মিত উপস্হিতির মাধ্যমে শিক্ষালাভ নির্দেশ করে l

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা নির্দেশ করে l

ষষ্ঠভাব = উপচয় ভাব, শ্রমের নির্দেশক, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য নির্দেশ করে l

নবম ভাব = উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা নির্দেশ করে l

একাদশ ভাব = প্রচেষ্টায় সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ নির্দেশ করে l

এবার আসি গ্রহ সম্পর্কে ---

বিদ্যাশিক্ষার কারক গ্রহ বুধ, এছাড়া বৃহস্পতি ও চন্দ্রের ভূমিকা অপরিসীম l প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রহেরই কোনো না কোনো ভূমিকা থাকে l


চন্দ্র --- শিক্ষার ইচ্ছা, শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি

বৃহস্পতি --- উচ্চশিক্ষা ও জ্ঞানলাভ

রবি --- মেধা, প্রতিভা, বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে সন্মান

শুক্র --- শুক্র হল শুভগ্রহ, যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত যুক্ত ভাবগুলির ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় সেক্ষেত্রে কলা, শিল্প, রসায়নবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে আগ্রহ ও সাফল্য প্রদান করে l

মঙ্গল --- মঙ্গল যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত সম্পর্কিত ভাবগুলির ও একাদশের নির্দেশক  হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যার্থীর পূর্ণ উদ্যম ও উদ্দীপনার মাধ্যমে স্বীয় প্রচেষ্টায় বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করে ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে l

শনি --- প্রথাগত শিক্ষায় শনির গুরুত্ব না থাকলেও শনি যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাব ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় তবে জাতক ধৈর্য,পরিশ্রম ও একাগ্রতার দ্বারা বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হন l শুভ শনি জাতকের অধ্যাত্বিকতা ও দর্শন শাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ সহায়ক l

রাহু --- বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে সবচাইতে ক্ষতিকারক অথচ গুরুত্বপূর্ণ  গ্রহটির নাম রাহু l যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির নির্দেশক হয়ে অশুভ স্পন্দন যুক্ত হয়            ( বিশেষত অষ্টম বা দ্বাদশের) বা অশুভ ভাবের নির্দেশক হয়ে বুধ বা চন্দ্রের সহিত সম্পর্কিত হয় তবে বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, চাঞ্চল্য ও বিশৃঙ্খলার কারক গ্রহ হিসাবে জাতককে বিদ্যাশিক্ষায় মনোনিবেশ করতে বাধা প্রদান করে এবং অসৎ সঙ্গদোষে বিদ্যার্জনে চ্ছেদও ঘটতে পারে l আর শুভ হলে অর্থাৎ বিদ্যাশিক্ষার সহযোগী ভাবের ও একাদশের জোরালো নির্দেশক হলে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় বিশেষ করে ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার নিয়ে উচ্চশিক্ষার সহায়ক হয়ে ওঠে যদি শুভ শনি বা বৃহস্পতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় l বর্তমান বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে রাহু ব্যাতিত সকল অগ্রগতি অচল তবে রাহু যেমন সাফল্য দেয় ঠিক সাফল্যের পাশাপাশি জাতককে কিছু দোষত্রুটিও ফ্রি হিসাবে দিয়ে দেয় যা তাঁদের ক্ষেত্রে সুখশান্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় l

কেতু --- কারকতা প্রধানত বাধাপ্রদান হলেও বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির শুভ নির্দেশক ও একাদশের নির্দেশক হলে অঙ্কশাস্ত্রে, জ্যোতিষ শাস্ত্রে অসাধারণ বুৎপত্তি প্রদান করে l

আমরা তাহলে কি দেখতে পেলাম ---

বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য = 4+9+11+বুধ

4 th cuspal sublord  ও 9 th cuspal sublord গ্রহ কোনোপ্রকারে বুধের সহিত সম্পর্কিত হয়ে 11 th cuspal sublord গ্রহের সহিত সম্পর্কিত হলে অর্থাৎ 4 -11/ 4-9-11 র নির্দেশক হলে জাতকের বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য লাভ হয় l

চতুর্থ ভাবের সহিত ষষ্ঠ ভাব এবং একাদশ ভাবের সম্পর্ক থাকলে জাতক বিদ্যাশিক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবে l চতুর্থ, নবম  ও একাদশ ভাবের সহিত কোনও ভাবে সম্পর্কিত গ্রহ বিদ্যাদান করে l

আপনি সন্তানকে গানও শেখাতে চান অর্থাৎ

সংগীতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভাবসমূহ ---

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, পঞ্চমভাবের দশমস্থান বা

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা, কল্পনা, শিল্পীসুলভ প্রতিভা, খেলাধুলা, গানবাজনা, রুচি ও সৌন্দর্যবোধ প্রভৃতি

একাদশভাব = প্রচেষ্টার সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ

তৃতীয়ভাব = মনোযোগ, একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি, মানসিক প্রবণতা নির্দেশ করলেও সংগীত চর্চার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তৃতীয় ভাব নির্দেশিত শরীরের অংশে গলা

দশম ভাব = কর্ম, জীবিকা, পেশা, নাম- যশ -খ্যাতি

এবার আসা যাক সংগীতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ  সম্পর্কে ---



Rullings of education in KP র পরবর্তী অংশ  lesson 3  (part 2) তে প্রকাশিত হবে


If you want to know more about Astrology lesson ---

Please comments and to get early notifications --- follow and share the article.










বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০

ZODIAC SIGN IN ASTROLOGY

রাশিচক্রের বিভিন্ন রাশির কারকতা

HOW TO KNOW ZODIAC SIGN IN ASTROLOGY


    কালপুরুষ রাশিচক্রের গঠন ও উপাদান






           Vedic Astrology, Astrology prediction, Astrology horoscope, Astrology online, Zodiac sign, Astrological sign, Astrology, horoscope, Birth chart বা Astrology সংক্রান্ত যে কোনো আলোচনার ক্ষেত্রে যে প্রশ্নগুলো সাধারণ মানুষের মনে উঠে আসে বা যে প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন জোতিষীদের হতে হয়, তার অন্যতম প্রশ্ন হলো  ---  আমরা জোতিষ বিশ্বাস করবো কেন? কোন যুক্তিতে?

            জোতিষীরা বলেন যে গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া জীবন ও জগতের উপর বর্তায় l --- ঠিক কথা, কিন্তু রাশিচক্রটাই তো মাত্র কয়েকটি রেখা আর কয়েকটি গ্রহ নিয়ে গঠিত যার সবটাই কাল্পনিক l অতএব এই সব কাল্পনিক বিষয়বস্তুর মধ্যে বাস্তব জীবনের মূল্যায়ন কিভাবে সম্ভব? রাশিচক্রের গঠন বা বিভাজনের সপক্ষে যুক্তি কোথায়? এটা তো একটা কল্পনা মাত্র l

              আমরা যারা এই জোতিষ শাস্ত্রটিকে বিশ্বাস করি বা না করি, প্রত্যেকেই মানবো যে শাস্ত্রটি অতি প্রাচীন এবং হাজার হাজার বছর ধরে এটির নিয়মিত চর্চা চলে আসছে l কোন পরিকল্পনা বা নির্দিষ্ট ভাবনা চিন্তা বা যুক্তি ছাড়া কেবলমাত্র কাল্পনিক বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে কোন শাস্ত্রের চর্চা দীর্ঘদিন সম্ভব? না তা সম্ভবপর নয় l এবং জোতিষশাস্ত্রটিওযুক্তি ও পরিকল্পনাহীন কেবলমাত্র কল্পনা প্রসূত কোন শাস্ত্র নয় l আমার মনে হয় যে কোন যুক্তিবাদী মানুষ নিরপেক্ষ মন নিয়ে যদি নিম্নলিখিত আলোচিত অংশ আন্তরিকতার সঙ্গে পড়েন তবে তিনিও রাশিচক্রের এই কল্পনাকে মেনে নিতে পারবেন l





কালপুরুষ রাশিচক্রটি দ্বাদশ ভাব/ঘর, সাতটি গ্রহ, তিনটি শক্তি ও চারটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত l রাশিচক্রে তিনটি পর্যায় বর্তমান l মেষ রাশি থেকে কর্কটরাশি পর্যন্ত 120 ডিগ্রি --- প্রথম পর্যায়, সিংহ রাশি থেকে বৃশ্চিক রাশি পর্যন্ত 120 ডিগ্রী --- দ্বিতীয় পর্যায়, ধনু রাশি থেকে মীন রাশি পর্যন্ত 120 ডিগ্রী  --- তৃতীয় পর্যায়l


তিনটি পর্যায়কে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে প্রতিটি পর্যায়ের শুরু অগ্নি উপাদান দিয়ে আর শেষ জল উপাদান দিয়ে l প্রতিটি পর্যায়ের উপাদান এক হলেও শক্তি ভিন্নরূপ l

অগ্নির প্রধান বৈশিষ্ট হলো ঔজ্জ্বল্য বা তাপ বিকিরণ করা, অগ্নি শ্রেণীর জাতক অর্থাৎ কালপুরুষ রাশিচক্রের প্রথম, পঞ্চম, নবম(পঞ্চম ভাব নির্দেশ করে মন মানসিকতা, নবম ভাব নির্দেশ করে উচ্চ স্তরের মানসিকতা) বা মেষ, সিংহ, ধনু রাশিতে যাদের বেশিরভাগ গ্রহ, লগ্ন ও রাশি থাকবে তাহাদের বৈশিষ্ট হলো অভিনব প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে মৌলিক চিন্তাধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া l বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়েও এরা অর্থের বিষয়ে আগ্রহী নয় l হটকারিতা, আবেগ, প্রচন্ড উচ্চাকাঙ্খা এদের প্রধান বৈশিষ্ট l

যে সকল জাতকের অধিকাংশ গ্রহ, লগ্ন, রাশি কালপুরুষ রাশিচক্রের দ্বিতীয়, ষষ্ট, দশম ভাব অর্থাৎ বৃষ, কন্যা, মকর রাশিতে অবস্থিত(দ্বিতীয় ভাব নির্দেশ করে অর্থ, ষষ্ট ভাব নির্দেশ করে শ্রম, দশম ভাব নির্দেশ করে কর্ম) তাদের প্রধান বৈশিষ্ট হলো অনাগত ভবিষ্যতের জন্য ক্রমাগত অর্থ উপার্জন l পার্থিব ভোগসুখ লাভের জন্যে শারীরিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাঁধাধরা জীবন যাপনে বেশি আগ্রহী l

যে সকল জাতকের অধিকাংশ গ্রহ, লগ্ন, রাশি কালপুরুষ রাশিচক্রের তৃতীয়, সপ্তম, একাদশ ভাবে অর্থাৎ মিথুন, তুলা, কুম্ভ রাশিতে অবস্থিত তাদের প্রধান বৈশিষ্ট হবে সংস্কার মুক্ত, বুদ্ধিমান, অধ্যাবসায়ী, প্রতিভাবান, নিজ সংকল্পে স্হিরচিত্ত l এদের চিন্তাধারা হবে বাস্তবধর্মী ও বিজ্ঞানসম্মত, কল্পনার স্থান সেখানে নেই l তৃতীয় ভাব নির্দেশ করে আগ্রহ, সাহস, যোগাযোগ, সপ্তম ভাব নির্দেশ করে জাতক ব্যাতিত অন্য সকল ব্যাক্তিবর্গ, একাদশ ভাব নির্দেশ করে সাফল্য এবং মনের ইচ্ছা পূরণ l অর্থাৎ প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বাস্তব সাফল্যের পথে অগ্রসর হবে l

আর যে সকল জাতকের অধিকাংশ গ্রহ, লগ্ন, রাশি কালপুরুষ রাশিচক্রের চতুর্থ, অষ্টম, দ্বাদশ ভাব অর্থাৎ কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশিতে অবস্থিত তারা হলেন জল শ্রেণীর জাতক l চতুর্থ ভাব নির্দেশ করে মাতা, সাধারণ মানসিকতা, গৃহ, অষ্টম ভাব নির্দেশ করে অলৌকিক বিষয়, গুপ্ত বিষয়, দ্বাদশ. ভাব নির্দেশ করে মোক্ষ লাভ, মুক্তি l জল শ্রেণীর জাতক হন বন্ধুবৎসল, অমায়িক l বিলাসিতা, রুচি ও সৌন্দর্যবোধ এর প্রতি এদের অমোঘ আকর্ষণ l ব্যক্তিগত জীবনে এরা হবেন অত্যন্ত রুচিশীল, শান্ত, ঘরোয়া, ও মার্জিত স্বভাবের l ভালো খাওয়া দাওয়ার ও ভোগবিলাসের প্রতি আকর্ষণ থাকলেও সবসময় পরিশ্রমের প্রতি থাকে অনীহা l এদের মানসিক গঠন সর্বদাই রহস্যময় l এদের সবসময় পরিচালিত করে কাজকর্ম করাতে হয় l




Zodiac Sign in Astrology

Know yourself  ---

এবার আসা যাক রাশিচক্রের চিহ্ন সম্পর্কে  -------------

রাশিচক্রের প্রথম রাশি মেষ চিহ্ন ভেড়া বা রামছাগল l অধিপতি মঙ্গল, চর - অগ্নি l আপাতদৃষ্টিতে শান্তশিষ্ট, দৈহিক ক্ষমতা বেশি না হলেও দৃঢ়তা ও ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি তার মধ্যে বর্তমান l প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক না কেন সে তার হটকারী একরোখা আক্রমণাত্মক মেজাজ ও প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার মানসিকতার জোরে নিজের শ্রেষ্টত্ব প্রমানে সচেষ্ট l মেষ রাশির জাতকের বৈশিষ্টই হলো স্বাধীনচেতা মনোভাব, জেদি,  দৃঢ়তা ও ব্যাক্তিত্বের সমাহার l তবে প্রায়সই সুস্থির ও সুপরিকল্পিত ভাবে কাজকর্ম ও প্রতিষ্ঠা তাদের আসে না এবং অনেক সময় কাজ অর্ধসমাপ্ত পর্যায়ে ফেলে রেখে তারা অন্য কোন লক্ষের পথে অগ্রসর হয় অর্থাৎ যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও বাস্তব জীবনের সাফল্য অনেক্ষেত্ৰই তাদের অধরা থাকে l

রাশিচক্রের দ্বিতীয় রাশি বৃষ, চিহ্ন ষlড়, অধিপতি শুক্র, স্থির - পৃথ্বী l খুব শান্তশিষ্ট ও সংযত ভাবে তারা তাদের পরিকল্পনা মাফিক পথে দৈহিক পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের সুখ স্বাচ্ছন্দ ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে চায় l অর্থাৎ বৃষ রাশির জাতকের বৈশিষ্টই হবে অনাগত ভবিষতের জন্যে সঞ্চয়, পরিশ্রমী, নিজের নিরাপত্তা ও ভোগসুখের ব্যাপারে আগ্রহী, আত্মকেন্দ্রিক, স্থিরসংকল্প --- সে তার নির্দিষ্ট পথেই চলবে l

তৃতীয় রাশি মিথুন, চিহ্ন নারী ও পুরুষ পরস্পর ভাব আদানপ্রদানে রত l অধিপতি বুধ, দ্বাত্মক - বায়ু l যথেষ্ট প্রতিভাবান, অনুসন্ধিৎসু, মেধাযুক্ত, বুদ্ধিজীবী শ্রেণী, অন্যথায় ধুর্ত ও প্রতারক l মিথুন রাশির জাতক হবেন তীক্ষ্ণ মেধা সম্পন্ন এবং প্রখর বুদ্ধিমান l তবে অসাধারণ বাগ্মিতা, উপস্থিত বুদ্ধি, অস্থিরতা,  ইগো ও প্রতিটি বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট l

চতুর্থ রাশি কর্কট, চিহ্ন কাঁকড়া, অধিপতি চন্দ্র, চর - জল l কাঁকড়া সর্বদাই চঞ্চল, উদ্দেশ্যবিহীন l বাস্তব জগতের মূল্যায়নে অসমর্থ l কল্পনা ও ভাবের আধার স্বরূপ তাদের মনকে বোঝা দুস্কর l ভাবের সাগরে সে যেন কিছু খুজে চলেছে l জ্যোতিষশাস্ত্রে চন্দ্র মনের কারক গ্রহ - কল্পনারও l স্বাভাবিকভাবেই চন্দ্রের ন্যায় ক্রমাগত পরিবর্তনশীল কল্পনা ও মানসিকতাই তার প্রধান বৈশিষ্ট l অর্থাৎ কল্পনা ও অনুভুতিস্বাপেক্ষ বিষয় তাকে সর্বদাই আকর্ষণ করবে এবং কল্পনা ও ভাবপ্রবণতাকে কেন্দ্র করে গঠিত শিল্পকলা ও সাহিত্য সৃষ্টি তার কাছে অসম্ভব নয় l তবে তারা প্রায়শইবাস্তব জগতের মূল্যায়নে অপারদর্শী আর অবচেতন স্বত্তায় কল্পনার জগৎ অঙ্কনকারী তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা বাn বুঝে ওঠা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব l চন্দ্রের কলার হ্রাসবৃদ্ধির ন্যায় কর্কট রাশির জাতক জাতিকার পরিবতনশীল কল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মন মানসিকতার তল খুঁজে পাওয়া সাধারণের অসাধ্য হলেও আদতে কর্কটের জাতক জাতিকা হন অনুভূতি, স্পর্শকাতরতা ভাবপ্রবণতার আধার l

পঞ্চম রাশি সিংহ, চিহ্ন সিংহ, অধিপতি রবি, স্থির - অগ্নিl সিংহের ন্যায় গাম্ভীর্য, আভিজাত্য, রাজকীয় স্বভাব, বহুমুখী প্রতিভা ও আদর্শের সংমিশ্রনে জাতক সর্বদাই শীর্ষে পৌছাতে আগ্রহী এবং সর্বদাই স্বতন্ত্রতা বজায়ে স্বচেষ্ট l সিংহ রাশির জাতকের বৈশিষ্টই হলো স্থির - অগ্নি উপাদানের বৈশিষ্টে সমৃদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে সে সমাজে নিজেকে উজ্জ্বল করে অপরকে অনুপ্রাণিত ও পরিচালিত করতে সক্ষম হবে l সিংহের জাতক হন সিংহের ন্যায় পৌরুষ দীপ্ত,  -  অকারণে চঞ্চলতা, হাঁকডাক তার পছন্দ নয় l বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী সিংহ রাশির  জাতকের একটি নেগেটিভ বৈশিষ্ট হলো  --- যদি তার পরিবারে বা পরিচিত মহলে বা কর্মস্থলে কেউ তার নেতৃত্বের বা বক্তব্যের বিরোধিতা করে তবে সে তৎক্ষণাৎ নিজেকে গুটিয়ে নেবে ও নিষ্ক্রিয় হয়ে সরে যাবে অর্থাৎ আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কোন কাজে সে আগ্রহী নয় l

ষষ্ঠ রাশি কন্যা, চিহ্ন একটি কুমারী মেয়ে, অধিপতি বুধ, দ্বাত্মক - পৃথ্বী l জাতক হবেন অতি সতর্ক ও বিষয়ী এবং নিজ প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন l লক্ষপূরণ ও কার্যসিদ্ধির জন্যে যেকোনো কৌশল প্রয়োগ করতে দ্বিধা বোধ তার নেই, নীতির ধার সে ধারে না --- জাতক সম্পূর্ণ বাস্তববাদী l এক্ষেত্রে অধিপতি বুধ তার মিথুন রাশির স্বীয় বালকস্বভাব অনুসন্ধিৎসাকে ত্যাগ করে উপাদানের পরিপূর্ণতায় পরিণত বোধবুদ্ধি ও মেধাকে কৌশলের মাধ্যমে ব্যবহার করে নিজ নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করাই তার প্রধান অভিপ্রায় l প্রত্যেকের সাথে তাদের অভিরুচি মাফিক ব্যবহার ও নিজ স্বার্থসিদ্ধি এবং আত্মকেন্দ্রিক ভোগসুখ ও সাফল্যের অভিপ্রায়ীর উদাহরণ কন্যা রাশির জাতক l

সপ্তম রাশি তুলা, চিহ্ন তুলা বা দাঁড়িপাল্লা, অধিপতি শুক্র, চর - বায়ু l তুলা বা দাঁড়িপাল্লা সমতার নির্দেশক --- এই রাশির জাতকের প্রধান বৈশিষ্টই হবে যে কোন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া l রাশির উপাদানের বৈশিষ্ট অনুসারে শুক্রের কারকতায় সমৃদ্ধ রাশির জাতক সর্বদাই চেষ্টা করবেন দয়া, মায়া, মমতা, সহানুভূতির মাধ্যমে সকলকে সুখী রেখে জীবনকে উপভোগ করতে l প্রেম - ভাতৃত্ব, শান্তি ও সৌন্দর্যের পূজারী জাতকের অন্যতমগুণাবলীই হবে অনুভূতি প্রবণতা ও রুচিশীলতা l

অষ্টম রাশি বৃশ্চিক, চিহ্ন কাঁকড়া বিছা, অধিপতি মঙ্গল, স্থির - জল l বৃশ্চিক রাশির জাতক হবেন আত্মবিশ্বাসী, শান্ত অথচ মানসিক দিক থেকে দৃঢ়চেতা l তাকে বুঝে উঠা বড়ই কঠিন l আঘাতপ্রাপ্ত জাতক সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন এবং উপযুক্ত সময়ে প্রতিপক্ষকে পিছন থেকে আক্রমণ করতে পিছপা হন না l অর্থাৎ প্রতিপক্ষ কখনোই তার প্রকৃতিকে বুঝে উঠতে পারবে না l অর্থাৎ মঙ্গলের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক, হটকারী মানসিকতা --- স্থির জলের ও অষ্টম ভাবের বৈশিষ্টের সমন্বয়ে পরিবর্তিত হওয়ায় জাতক হয়ে উঠবেন গভীর ভাবে আত্মবিশ্বাসী, স্থির, সংযত অথচ প্রতিশোধস্পৃহার ইচ্ছা তার অবচেতন স্বত্তায় বিদ্যমান থাকবেই l কোনো কাজেই এরা স্বক্রিয় ভূমিকা নিতে আগ্রহী নয়, সবসময় এদের পরিচালিত করে কাজকর্ম করাতে হয় l

নবম রাশি ধনু, চিহ্ন ঘোড়ার উপর আরোহী, হাতে তীর ধনুক বা অর্শ্বারোহী ধনুর্ধর --- যার নিম্নাংশ অর্শ্ব ও উর্ধাংশ ধনুর্ধর, দ্বাত্মক অগ্নি l গঠন বৈশিষ্ট থেকেই বোঝা যায় যে সে কল্পনাবিলাসী নয়, বাস্তব আদর্শবাদী l অর্শ্ব গতির প্রতীক আর তীরধনুক নির্দেশ করে স্থির লক্ষ্য বা নিশানা l রাশিচক্রে নবম ভাব নির্দেশ করে ভাগ্য, ধর্ম, উচ্চস্তরের মানসিকতা বা সাধনা l নবম ভাবের সহিত চিহ্ন ও উপাদান দ্বাত্মক অগ্নির বৈশিষ্টের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ জাতকের বৈশিষ্টই হবে নিজের আদর্শের দিকে লক্ষ্য রেখে সব কিছুর মূল সত্যানুসন্ধান এবং উচ্চাভিলাষ, আভিজাত্যের সহিত আদর্শের জন্যে তিনি হয়ে উঠবেন সকলের অনুপ্রেরণা l

দশম রাশি মকর, চিহ্ন কুমীর, অধিপতি শনি, চর পৃথ্বী l প্রতীক চিহ্ন থেকেই বোঝা যায় মকর রাশির জাতকের প্রধান বৈশিষ্টই হলো একাগ্রতা, নিয়মানুবর্তিতা, বাস্তবতা, শৃংখলাপরায়ণতার মাধ্যমে জাগতিক ভোগসুখকে করায়ত্ত করার প্রয়াসী l খেয়াল করে দেখুন রাশিচক্রের অন্য দুটি পৃথ্বী রাশি অর্থাৎ বৃষের শুক্রের মার্জিত ভাব ও রুচিশীলতা বা কন্যার বুধের বুদ্ধিমত্তা বা কৌশল এখানে অনুপস্থিত বরং শনির শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, কঠোরতা এখানে উপস্থিত l আবার মকরের ঠিক বিপরীত রাশি কর্কটের কল্পনার বিপরীতধর্মী শনির কঠোর বাস্তবতা দৃশ্যমান l

একাদশ রাশি কুম্ভ, চিহ্ন স্কন্ধে জলপূর্ণ কলসি নিয়ে দন্ডায়মান পুরুষ, অধিপতি শনি, স্থির বায়ু l একাদশ ভাব নির্দেশ করে সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ l রাশিটি জাগতিক ভোগসুখের সর্বোচ্চ বিন্দুর পরবর্তী রাশি হওয়ায় জাতকের মধ্যে সতর্কতা, একাগ্রতা, আত্মবিশ্বাস, সংযম ও নিজের লক্ষ্যের প্রতি আগ্রহী হন l শনির কারকতায় কঠোর পরিশ্রমী অথচ সদাসতর্ক যাতে কলসির জল না পড়ে যায় l স্থির বায়ু অর্থাৎ সাফল্যকামী জাতক শত সাফল্যেও ভাবলেসহীন --- সে কাজে বিশ্বাসী ফলে নয় l

রাশিচক্রের শেষ রাশি মীন, চিহ্ন দুটি মৎস পাশাপাশি বিপরীতে অবস্থানরত, অধিপতি বৃহস্পতি, দ্বাত্মক জল l প্রতীক চিহ্ন থেকেই বোঝা যায় যে জাতকের মধ্যে দুটি বিপরীত স্বত্বা বিদ্যমান l দ্বাদশ ভাব নির্দেশ করে মুক্তি বা মোক্ষ, দ্বাত্মক জল ও বৃহস্পতির বৈশিষ্টের সংমিশ্রনে জাতকের কল্পনায় ও অবচেতন স্বত্তায় মুক্তির আস্বাদ গ্রহণের ইচ্ছা থাকলেও সে জানে এই মুক্তি তার পুনরায় আগমনেরই নামান্তর l অর্থাৎ জাতক জ্ঞানী, উদার, অন্তর্মুখী, ধার্মিক অথচ দ্বিস্বত্তার অধিকারী l

এই হলো সাধারণ ভাবে --- দ্বাদশ রাশির জাতকের সাধারণ বৈশিষ্ট l


কালপুরুষ রাশিচক্রের যে কোন রাশির বৈশিষ্টাবলীর বিপরীত বৈশিষ্টযুক্ত হবে ঠিক তার বিপরীত রাশিটি l যেমন মেষ সাপেক্ষে তুলা বা কন্যা সাপেক্ষে মীন l

আমার পর্যবেক্ষণে এই ব্রহ্মণ্ডের সকল সৃষ্টিই দুটি বিপরীত গুণাবলী বা বৈশিষ্টযুক্ত l একটি অপরটির পরিপূরক l উদাহরণস্বরূপ দিন - রাত্রি, নারী - পুরুষ, উত্তরমেরু - দক্ষিণমেরু, ইলেকট্রন - প্রোটন প্রভৃতি l অর্থাৎ এই রাশিচক্রের বৈশিষ্টাবলীও তার ব্যাতিক্রম নয় l

আলোচ্য কালপুরুষ রাশিচক্রের গঠনের এটি একটি রূপমাত্র বা কেবলমাত্র একটি দৃষ্টিকোণ থেকে অনুসন্ধানকৃত l পরবর্তী লেখায় অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ আলোচনা করার ইচ্ছা রইলো l

এবার আসি রাশি কাকে বলে ---

জন্মকালীন সময়ে অঙ্কিত রাশিচক্রে চন্দ্রের অবস্থান স্বাপেক্ষে জাতকের রাশি নির্ণীত হয় l অর্থাৎ যদি কারোর birth chart এ চন্দ্র ধনু  রাশিতে অবস্থান করে তবে তার জন্মরাশি হবে ধনু বা জাতকের ধনুরাশির l

এক্ষেত্রে প্রত্যেক জোতিষ অনুরাগী শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি নিজ ছকে  ---দ্বাদশ রাশির জাতকের সাধারণ বৈশিষ্ট  মিলিয়ে দেখতে পারেন --- আংশিকভাবে মিলবেই l সম্পূর্ণ বৈশিষ্টাবলীর জন্যে জাতকের পূর্ণ chart/ birth chart অঙ্কন ও দ্বাদশ ভাব স্বাপেক্ষে চন্দ্রের সহিত অন্যান্য গ্রহের সম্পর্ক ও তাদের নির্দেশনামা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন l





আমার মনে হয় প্রাচীনকালে মুনিঋষিদের অনুসন্ধিসু মন নিয়ে গ্রহ নক্ষত্রদের পর্যবেক্ষণ ও মানবজীবনে গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব সম্বন্ধিত জোতিষ শাস্ত্রকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করার অবকাশ আর নেই l যদি নিরপেক্ষ মন নিয়ে বিচার করা যায় তবে আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করার পাশাপাশি জোতিষশাস্ত্রকে মেনে চললে কোনো ক্ষতি নেই বরং লাভ আছে কারণ বিজ্ঞান যদি বর্তমান হয় তবে জোতিষ হলো অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত l এ প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে যে বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি যে ভাবে একদিকে তার বহুব্যাস্ত কর্মক্ষেত্রকে ও অপরদিকে তার পরিবারকে সামলান ( কারণ উভয়ই তার কাছে অপরিহার্য --- যে পক্ষকেই অবহেলা করুক তাতে তার সমূহ ক্ষতি), ঠিক একইভাবে আমরা আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক ব্যাক্তিবর্গ যদি জোতিষকে মেনে চলি তাতে আমাদের ক্ষতি নেই বরং লাভই আছে l

To get more article and notifications ---

Please click on the follow button and share the article .

I am waiting for your valuable comments.


                                     ---    সবাই সুস্থ ও ভালো থাকুন  ---