শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১

A new concept of Astrology

  

আমরা জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করবো কেন --- কোন যুক্তিতে ?


A new concept of Astrology


    ঘটনাটি 2018 র নভেম্বরের, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর সবাই খুব উত্তেজিত --- জানি না গন্তব্যের দিন শনিবার বলে কি এত দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা(!) --- না কি কালীপুজো - দেওয়ালীতে মায়াবী নৈনিতালে celebrate করার স্বপ্নের অপেক্ষায় সময় আর কাটছিলো না বলে --- আসলে আমরা আগ্রহী ছিলাম পাহাড়ের রানী নৈনিতালের থেকেও সুন্দরী মুন্সিয়ারিকে নিয়ে l দীর্ঘদিন আমরা আলোচনা করেছি --- কে বেশি সুন্দরী মহাবালেশ্বর- পঞ্চগনি না কি কাশ্মীরের গুলমার্গ না কি হিমাচলের ছিটকুল না কি মুন্সিয়ারি না আউলি l ভ্রমণ পিপাসুদের ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত কথা হল  --- পায়ের তলায় সর্ষে, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে কথাটি ঠিক সেই অর্থে প্রযোজ্য নয় বরং বলা যায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আমাদের হাতে সর্ষে  --- প্রয়োজন মত পায়ের তলায় দিয়ে নেওয়া অর্থাৎ বেড়ানোর জন্যে আমরা সদা প্রস্তুত শুধুমাত্র উপলক্ষ্যটা খুঁজে নেওয়া l আর মজার বিষয় প্রত্যেকে ভ্রমণের ক্ষেত্রেই সে ছোট হোক বা দীর্ঘ ভ্রমণ  --- ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় এবং adventure সমতুল্য ঘটনার সম্মুখীন হওয়াটা যেন আমাদের ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যেমন উটি থেকে ফেরার পথে ট্রাভেল এজেন্টের দাক্ষিণ্যে রাত বারোটার পর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়িপথে উটি থেকে মাইসোরে প্রত্যাবর্তন বা হিমাচলের ছিটকুল থেকে ফেরার সময় গাড়ির নদীর দিকে গড়িয়ে যাওয়া বা জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে বৃষ্টিস্নাত সকালে Elephant riding এর সময় সঙ্গী হস্তিশাবককে বন্যশুকরের আক্রমণের ফলস্বরূপ আমাদের হাতির ক্ষেপে ওঠা বা হরতালের মধ্যেও অশান্ত শ্রীনগর তথা কাশ্মীর ভ্রমণ সম্পূর্ণ হওয়া  --- এরূপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অসহায় অবস্থা প্রকট হওয়া স্বত্তেও সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস ও তার অপার করুনায় আমরা প্রত্যেকে ক্ষেত্রেই সুস্থভাবে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছি l অর্থাৎ ভ্রমণ মানেই আমরা জানি adventure পদে পদে আমাদের জন্যে অপেক্ষা করে আর এটাও অনুভব করি যে ঈশ্বরের ইচ্ছাই আমাদের জীবনে পূর্ণ হবে l 

নির্ধারিত দিনে শিয়ালদহ- রাজধানীতে উঠেও নিজেদের মধ্যে একই আলোচনা চলতে লাগলো l আস্তে আস্তে রেলপরিবারের সদস্যদের অর্থাৎ সহযাত্রীদের সাথে আলাপ পরিচয়ে বেশ কাটছিলো সময়টা --- হটাৎই ছন্দপতন দুই সহযাত্রী ভদ্রমহিলার আলোচনায় l এক ভদ্রমহিলা সহযাত্রী আরেক ভদ্রমহিলাকে বলছিলেন  --- জানেন তো দিদি ছেলে ব্যাডমিন্টনটা ভালোই খেলছে আর সাঁতারেও যথেষ্ট ভালো কিন্তু কি হবে জানিনা... I অন্যান্য সহযাত্রীরাও আলোচনায় ব্যাস্ত:--- কে কোথায় যাচ্ছে ? কি উদ্দেশ্যে --- যেটা হয় আর কি l পাঁচটা বাঙালি পরিবার একত্র হলেই আলাপ পরিচয়, গল্প, PNPC --- চব্য চোষ্য লেহ পেও - র কোনো পদেরই অভাব ছিল না, আর নিশ্চিতভাবে শ্রোতা সকলের কাছে এটা উপভোগ্যও বটে, সময় কিভাবে কেটে যায় টেরটিও পাওয়া যায় না l 

--- হটাৎই উক্ত সহযাত্রীদের আলোচনার একটা অংশ তাঁদের প্রতি মনোনিবেশ করতে বাধ্য করল l

প্রথম ভদ্রমমহিলা --- আসলে দিদি ব্যাপারটা হল আমি খেলোয়াড় কোটায় রেলের চাকুরে কিন্তু ছেলে ভালো খেললেও কোনোমতে state lavel এ rank করতে পারছে না আর rank করতে না পারলে চাকরির কোনো সম্ভবনা নেই l আমি ভলিবলে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম তাই সহজেই চাকরিটা পেয়ে গেছিলাম l তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করে ছেলেকে individual sports এ নিয়ে এসেছি যাতে চাকরির সম্ভবনাটা থাকে l

দ্বিতীয় ভদ্রমহিলা --- অত চিন্তার কি আছে ? আপনি ভালো খেলোয়াড় ছিলেন তো আপনার ছেলেও সেই গুন পেয়েছে l দেখবেন ঠিকই ভবিষ্যতে নামী খেলোয়াড় হবে l তো ছেলে এখন কোন ক্লাসে পড়ে আর লেখাপড়ায় কেমন ?

প্রথম ভদ্রমহিলা --- লেখাপড়ায় ভালোই তবে অঙ্কতে খুবই সাবলীল কিন্তু practice এ নজর দিতে গিয়ে নিয়মিত স্কুল যেতে পারে না l এদিক school ও সুযোগ সুবিধা দিতে নারাজ, পরপর দুবার স্কুল change করলাম তবুও কোনো স্কুলই প্রথমে সুযোগ সুবিধার কথা বললেও শেষে সুযোগ সুবিধা দিতে নারাজ l আমরা লখনৌতে sports academy তে যোগাযোগ করেছিলাম কিন্তু state ranking না থাকলে chance পাওয়ার সম্ভবনা নেই l এদিকে ছেলে বলছে --- আমিতো দাবা খেলতে চেয়েছিলাম, তোমরা বললে badminton এ সুযোগ বেশি, আর দেখো সৌম্য দাবাতে state rank করেছে l

------- সামান্য বিরতি ---

---

---

---

প্রথম ভদ্রমহিলা --- তা দিদি আপনি কোথায় যাচ্ছেন ?

দ্বিতীয় ভদ্রমহিলা --- আমার মেয়ে philosophy র professor দিল্লীতে থাকে, ওর কাছেই যাচ্ছি l


সন্তানের সাফল্যে জ্যোতিষ শাস্ত্রের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ---

প্রবাদ আছে না --- ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে, আমার অবস্থাও তাই l স্বভাব যায় না মলে --- রহস্যের গন্ধ পেয়েই ভুলে গেলাম সুন্দরী মুন্সিয়ারির প্রেম,  কখন যেন অবচেতন স্বত্তায় প্রবেশ করেছি বাস্তব পরিস্থিতিতে --- কোনটা ঠিক ভদ্রমহিলার বাস্তব চিন্তাভাবনা না কি ছেলের ইচ্ছা ? ছেলেটি কি জীবনে সাফল্য পাবে  --- পিতামাতার ইপ্সিত ইচ্ছার বাস্তব রূপ দানে সক্ষম হবে না কি সাফল্যের দোরগোড়া থেকে ফিরত আসতে হবে ?


আমরা কি চাই --- কেন চাই ?

--- আমরা অবচেতন স্বত্তায় আমাদের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলোকে আমাদের সন্তানের মাধ্যমে পরিপূর্ণ করতে চাই

--- সন্তানের ভবিষ্যত সাফল্যকে করায়ত্ব করার উদ্দেশ্যে আমরা অনবরত সন্তানকে একপ্রকার চাপই দিতে থাকি যেন সব বিষয়ে সে সফল হতে থাকে l বিদ্যাশিক্ষায় rank করতে হবে, খেলাধুলা - শিল্পকলা সবকিছুতে সাফল্য চাই, ফল সামান্য খারাপ হলেই, সফল সহপাঠীদের তুলনা শুরু হয়ে যায়

--- আমরা চাই সন্তানকে সাফল্যের ইঁদুরদৌড়ে সামিল করতে --- আরও সাফল্য আরও সাফল্য --- কিন্তু বুঝতে চাই না এর সীমারেখা কোনটা --- শেষ কোথায় ?

--- আমরা সন্তানকে ভাবি মানুষ নয় রোবট বা গিনিপিক l কখনোই আমরা তার ইচ্ছা অনিচ্ছা, ভালোলাগা- মন্দলাগাকে গুরুত্ব দিই না, জানতেও চাই না বড় হয়ে সে কি হতে চায় বা কি করতে তার ভালো লাগে l কেন বলুন তো ? শুধুমাত্র নিজের সন্তানকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে নাকি সন্তানের সাফল্যে অন্যের comments শুনে আত্মতৃপ্তি লাভের উদ্দেশ্যে l

আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি --- সাফল্যের সংজ্ঞা কি বা কোন দৃষ্টিকোণ থেকে একজনকে সফল বলা যায় ?

কখনও কি আমরা ভেবে দেখেছি একজন সফল ব্যাক্তির অন্তরালে কতটা অসাফল্য থাকে ? যদি আপনি polarity তে বিশ্বাসী হন অর্থাৎ চুম্বকের উত্তরমেরু - দক্ষিণমেরু বা নারী- পুরুষের ন্যায় সাফল্যেরও বিপরীত স্বত্তা অসাফল্য বা ব্যার্থতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে বিদ্যমান l না কি সাফল্যের আলোকে ব্যার্থতা ঢাকা পড়ে যায়?

বর্তমান নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির সমাজবাবস্থায় একদিকে আমরা যেমন নিজেদের carrier নিয়ে ব্যস্ত থাকি ঠিক একইরকম ভাবে সন্তান জন্মাবার আগে থেকেই অবচেতন স্বত্তায় আমরা আমাদের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলিকে সন্তানের মধ্যে দিয়ে পরিপূর্ণতা দিতে উদগ্রীব হয়ে উঠি l

সন্তান জন্মের পর আমরা কি করি  --- সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্যে Doctor এর পরামর্শ মতন সকল প্রচেষ্টাই আমরা করে থাকি l সাফল্য পেতেই হবে l সন্তানের সাফল্যকে কেন্দ্র করে আমাদের চাহিদা আর প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধানকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় সমস্যা l

পিতামাতার চিন্তার শেষ নেই --- সন্তান অবাধ্য/ জেদী/ অমনোযোগী/ লেখাপড়ায় সাফল্য পাচ্ছে না/ চঞ্চল/ behavioral problem ----

এর সমাধান কোথায় ?

কেন জ্যোতিষী ---

এক শ্রেণীর মানুষ আছেন যাদের কাছে জ্যোতিষ শাস্ত্র কুসংস্কার --- বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত মহলে জানলে হাস্যকর ব্যাপার হবে l জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হওয়া মানে status এর অবনতি l

আরেক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা শাস্ত্রটিকে বিশ্বাস করেন কিন্তু জ্যোতিষীদের পারদর্শীতা নিয়ে সন্ধিহান l বড়োজোর সহধর্মিনীর চাপে পড়ে জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হতে হয় l

আরেক শ্রেণীর মানুষ পাবেন যারা সরাসরি জ্যোতিষীর কাছে যাবেন এবং পরিষ্কার বলবেন আপনার কাছে এসেছি --- যে কোনো মূল্যে সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে l

ফলাফল সমাজে জ্যোতিষীদের " সন্মানবৃদ্ধি (!) ---" --- ধুর মশাই যত সব কুসংস্কার, বুজরুকি ব্যাপার --- কোনো কাজ হয় না শুধু শুধু পয়সার অপচয় l

সত্যি করে বলুন তো কি ভেবেছিলেন জ্যোতিষীকে ? একজন মানুষ না কি ভগবান/ ঈশ্বরের উর্দ্ধে কোনো ব্যাক্তি ?

কখনও ভেবে দেখেছেন সমস্যার সূত্রপাত কোথায় আর সমস্যা সৃষ্টির নেপথ্যে আপনার অবদান---

বর্তমান সমাজব্যবস্থায় বেশিরভাগ সন্তানরাই তাদের দাদু দিদার স্নেহ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত --- একটা শুন্যতা থেকেই যায় l এবার বলুন তো আপনি সন্তানকে কতটা সময় দিতে পারেন ? সন্তানের বন্ধু হতে পেরেছেন তো না কি কেবলমাত্র guardian এর ভূমিকা পালন করেছেন ? কখনও তার দৃষ্টিকোণ থেকে তার চাহিদা, তার ইচ্ছা, তার আবদারের কথা ভেবে দেখেছেন না কি আপনার maturity অনুসারেই তাকে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন ? ভাবুন ভাবুন ---

তাহলে এখন কি করবো ? এমতবস্থায় একমাত্র ভুক্তোভুগী পিতামাতারাই অনুভব করতে পারবেন নিজেদের অসহায়তা ---

হতাশ হওয়ার কিছু নেই --- সাইক্রিয়াটিস্টরা আছেন, appointment নিন  --- treatment, counseling, test --- যা যা করণীয় চলতে থাকুক ---

এপ্রসঙ্গে একটি কথা বলে রাখি, শনি যদি সমস্যার কারণ হয় অর্থাৎ প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত হয় তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও সম্পূর্ণ নিরাময়ের আশা করা বৃথা l

কি অবচেতন মনে স্রষ্টা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা আপনা আপনিই চলে আসছে তো ? আস্তে আস্তে বিশ্বাস আসছে তো তার উপর l নিজের সাফল্য, status, আত্মবিশ্বাস শব্দগুলো কেমন যেন অন্যজগতের মনে হচ্ছে না ? বুঝতে পারছেন ঈশ্বরের এই সাম্রাজ্যে আপনার অস্তিত্ব --- মনে হচ্ছে কেউ যেন "আমিত্ব" শব্দটাকে শব্দকোষ থেকে delete করে দিয়েছে l

সবই তো বুজলাম কিন্তু এখানে একজন জ্যোতিষীর প্রয়োজনীয়তা কোথায় ?

"স্যার আপনার তিনটে ভেজ ছিল তো " --- সম্বিৎ ফিরে পেলাম প্যান্ট্রি বয়ের ডাকে l তাকিয়ে দেখি আশেপাশের সবাই পরস্পর আলাপচারিতায় মগ্ন, বুঝতে পারলাম কোন জগতে বিচরণ করছিলাম l রাতের খাবার শেষ করলাম, বিছানা পত্তর প্রস্তুত করে শুয়ে পড়লাম l

মনে মনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ শুরু করলাম l প্রসঙ্গক্রমে একটা কথা বার বার মনে ফিরে আসছিলো ---" আমি তো দাবা খেলতে চেয়েছিলাম, তোমরা বললে badminton এ সুযোগটা বেশি আর দেখো দেখো সৌম্য দাবাতে state rank করেছে " l

সঙ্গে ল্যাপটপও নেই আর নিজের ইপ্সিত মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্যে অর্থাৎ ছেলেটির খেলোয়াড় জীবনের ভবিষ্যত নির্ণয়ের জন্যে অযাচিত ভাবে জন্মবৃত্তান্ত জানতে চাওয়াটাও মোটেই সৌজন্যমূলক দেখায় না l

তাহলে উপায় ---

ফিরে গেলাম ভদ্রমহিলার কথায় --- রেলের চাকুরে --- ভলিবল খেলোয়াড় --- রাজ্য পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব

মনে মনে সাজিয়ে নিলাম ---

রেলগাড়ির কারক --- 3+4+শুক্র+ পৃথ্বী রাশি+ শনি ( বৃহৎ ও লোহার ট্রাকের উপর চলার জন্যে)

মঙ্গল - বুধ = electric engine

সরকারী চাকুরে = 10+6+রবি

ভলিবল খেলোয়াড় ---

খেলাধুলার ক্ষেত্রে লগ্নবিন্দুর সাবপতিকে রবি/ মঙ্গল/ বৃহস্পতির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পৰ্কিত হয়ে পঞ্চমভাবের নির্দেশক হতে হবে

খেলাটি যেহেতু ভলিবল তাই ধৈর্য, কৌশল, উপস্থিত বুদ্ধি ও গতির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও body contract game নয় বলে মঙ্গল ও বৃহস্পতি তত জোরালো না হলেও বুধ ও শনির প্রত্যক্ষ সংযোগ প্রয়োজন l রাজ্যস্তরে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে রবির সংযোগ জোরালো ধরে নেওয়া যায় কারণ রবি প্রতিভার কারক গ্রহ আর প্রতিভা না থাকলে রাজ্যস্তরে প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভবপর নয় l ভলিবল মূলতঃ হাতের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত খেলা বিশেষ সুতরাং তৃতীয় ভাবের সহিত বুধের সংযোগ ও সাফল্যের কারণে একাদশ ভাব অবশ্যম্ভাবী l

3+11+বুধ

অর্থাৎ লগ্নবিন্দুর সাবপতি গ্রহটি পঞ্চম ভাববিন্দুর সাবপতি গ্রহটির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত এবং উভয়েই জোরালোভাবে তৃতীয় ভাবের নির্দেশক ও শনি, বুধের সহিত সম্পর্কিত l

এবার দেখা যাক ছেলের খেলাধুলার ক্ষেত্রে  ---

খেলাটি badminton হেতু প্রচন্ড ক্ষিপ্রতা, চূড়ান্ত শারীরিক সক্ষমতা, উপস্থিত বুদ্ধি ও ধৈর্যের প্রয়োজন অর্থাৎ লগ্নবিন্দুর সাবপতি গ্রহটি রবি/ মঙ্গল/ বৃহস্পতির সহিত সম্পর্কিত হয়ে পঞ্চমভাবের জোরালো নির্দেশক হবে l এক্ষত্রে তৃতীয় ভাব ও শনি বুধের সম্পৰ্ক অত্যন্ত জরুরি এবং প্রত্যক্ষভাবে শুক্র ও বৃহস্পতির সংযোগ প্রয়োজন l

আবার সাঁতারের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত শারীরিক সক্ষমতা ও দ্রুত হস্তসঞ্চালনের জন্যে মঙ্গল বা বৃহস্পতি ও শনি- চন্দ্রের সহিত 3+9+ বুধের প্রত্যক্ষ সংযোগ প্রয়োজন l 3+9+ বুধ দ্রুত হস্তসঞ্চালনের পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের সক্ষমতাও নির্দেশ করে l

লক্ষ্য করে দেখুন মায়ের ও ছেলের নিয়ন্ত্রক গ্রহ ও ভাবের তুলনামূলক পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট হয় --- ছেলের খেলাধুলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রহত্রয় শুক্র, চন্দ্র ও বৃহস্পতি কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে মায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল না l

এবার আমরা দেখি ছেলে যদি দাবা খেলতো ---

দাবা এমন একটি খেলা যেখানে শারীরিক সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা অপেক্ষা মানসিক দৃঢ়তা,  ধৈর্য, উপস্থিত বুদ্ধি ও তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় l অর্থাৎ লগ্নবিন্দুর সাবপতি গ্রহটির নির্দেশনামায় 3, 5 ভাবের স্পন্দন ও শনি, বুধের প্রত্যক্ষ সংযোগ প্রয়োজন l

ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন মায়ের খেলাধুলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও শুভ ফলদাতা গ্রহগুলিই এখানে উপস্থিত l

এবার স্বাভাবিকভাবেই আপনাদের থেকে প্রথম প্রতিক্রিয়া যা হবে বা যে প্রশ্নটি আপনাদের মনে উঠে আসবে তা হল ---

এটা কি বলছেন --- ছেলের খেলাধুলার সাথে মায়ের খেলাধুলার কি সম্পৰ্ক ?

আচ্ছা এবার বলুন তো বিবাহ বিচারকালে রাশিচক্র বিশ্লেষণের সময় সপ্তমভাবকে কেন পর্যবেক্ষণ করা হয় ? নিশ্চয়ই life partner/ জীবনসঙ্গীর বৈশিষ্ট্যসমূহ সুপ্ত অবস্থায় সপ্তমভাবের মধ্যে নিহিত থাকে l একজন প্রকৃত জ্যোতিষীর পক্ষে সপ্তমভাবের সহিত সম্পর্কিত গ্রহসকল ও ভাবের মাধ্যমে রাশিচক্র স্বাপেক্ষে জাতক/ জাতিকার জীবনসঙ্গীকে সুচারুভাবে নিরুপন করা কোনো অসম্ভব বিষয় নয় l

এবার চিন্তা করুন --- পঞ্চম ভাব নির্দেশ করে সন্তান আবার খেলাধুলাও পঞ্চমভাব থেকেই বিচার্য l অর্থাৎ মায়ের রাশিচক্রের ক্ষেত্রে তার খেলাধুলা সম্পর্কিত গ্রহ ও ভাবসকল নিশ্চয়ই তার লগ্নবিন্দুর সাবপতির সহিত সম্পর্কিত আবার উক্ত গ্রহসকল তার সন্তানের ক্ষেত্রেও সন্তানের বৈশিষ্টের নির্ধারক অর্থাৎ সন্তানের লগ্নবিন্দুর সাবপতির সহিত সম্পর্কিত কারণ আপনি এবিষয়টি মানতে বাধ্য যে --- " পিতামাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট ও গুণাবলী বংশানুক্রমে সন্তানসন্ততির মধ্যে বর্তায় " l

আবার দেখুন সন্তানের খেলাধুলার ক্ষেত্রে অর্থাৎ সন্তানের পঞ্চমভাবের নিয়ন্ত্রক গ্রহসকল ও ভাবসমূহ নিশ্চয়ই সন্তানের লগ্নবিন্দুর সাবপতির সহিত প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পর্কিত কারণ এটাও আমরা মানতে বাধ্য যে ---   " লগ্নের মধ্যেই নিহিত জীবনের সকল ঘটনাবলী " l

আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন যে মায়ের খেলাধুলার সাথে সন্তানের খেলাধুলার সম্পর্ক কোথায় l প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না থাকলেও নিয়ন্ত্রক গ্রহ ও ভাবের সমন্বয়ে (permutation & combination theory অনুসারে) দুটি ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক ও সামঞ্জস্য বর্তমান l

না আর পারছি না  --- ঘুমে চোখ লেগে আসছে l

---

---

---

Sir চায়ের tray টা ধরুন --- সকালে ঘুম ভাঙলো pantry boy এর ডাকে l মাথাটা ধরে আছে --- বুজলাম গত রাত্রের প্রভাব l আশেপাশের অনেকেই উঠে পড়েছেন l চা পান করে মাথাটা ফ্রেশ হল l গতরাত্রের চিন্তার রেশ ধরে বিচার্য বিষয়ের সূত্রাবলী স্বাপেক্ষে মূল ঘটনাকে মনের মধ্যে অঙ্কনে স্বচেষ্ট হয়ে উঠলাম l

অনেকের ক্ষেত্রেই ট্রেনে ঘুম আসাটা সমস্যাদায়ক হলেও আমার তো ঘুমাতে বেশ ভালোই লাগে আর রাত্রে ঘুমটা ভালোই হয়েছিল অর্থাৎ 3+9+ চন্দ্র- বুধ- শনি

রেলগাড়ি অর্থাৎ শুক্র + 4 + পৃথ্বী রাশি - শনি - বৃহস্পতি- বুধ (3-9)- মঙ্গল

একে তো ট্রেন --- তাতে ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সদ্দার --- না laptop না প্রয়োজনীয় বইপত্তর  --- কি করবো ?

স্মরণ করলাম কৃষ্ণমূর্তিজীকে --- প্রয়োগ করলাম তার আবিষ্কৃত শ্রেষ্ঠ অমোঘ অস্ত্রটিকে আমার android set টির সহায়তায় l এক্ষেত্রে রেলগাড়িতে ভ্রমণ আর রাত্রে ভালো ঘুম হওয়া আমার বিচার পদ্ধতির অন্যতম হাতিয়ার রূপে আত্মপ্রকাশ করল --- পেয়ে গেলাম ইপ্সিত গ্রহসকল যথাক্রমে রবি, শনি, বুধ এবং বৃহস্পতিকে অর্থাৎ জাতক দাবা খেললে সফল হওয়ার সম্ভবনা থাকতোই l  

এবার একটাই সমস্যা --- কতটা সাফল্য পাওয়ার সম্ভবনা থাকতো ?

সবচাইতে বলবান গ্রহ কে ? অর্থাৎ জোরালো একাদশের নির্দেশক বা 3+5+6+9+10+11 ভাবের জোরালো নির্দেশক গ্রহ কোনটি ?

চিন্তার রেশ কেটে গেলো বাইরের চিৎকার চেঁচামেচির শব্দে বুঝলাম কোনো স্টেশনে ট্রেন থেমেছে l জানলা দিয়ে বাইরে তাকাতেই হটাৎই চোখ আটকে গেলো বুক স্টলে রাখা পত্রিকার রবিবাসরীয় পৃষ্ঠার একটি headline এর উপর ---

পেয়ে গেলাম উত্তর, বুঝে গেলাম জাতক যদি জাতক যদি দাবাকেই প্রধান খেলা হিসাবে গ্রহণ করতো সেক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যেত l নিশ্চিতরূপেই আন্তর্জাতিক সাফল্যকে করায়ত্ব করতেও সক্ষম হতো যেটা বর্তমান খেলাগুলির ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব l

আন্তরিক ধন্যবাদ জানালাম সকলের শ্রদ্ধেয় কৃষ্ণমূর্তিজীকে --- জ্যোতিষ শাস্ত্রের যে মণিমাণিক্য তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন  --- তাতে কয়েক দশকের জ্যোতিষ বিষয়ক গবেষণার রসদ আমরা পেয়ে গেছি l

 অতঃপর ধন্যবাদ জানালাম আমার শ্রদ্ধেয় গুরুদেবকে যার সান্নিধ্যে এবং অনুপ্রেরণায় আমার পথ চলা শুরু ---

সর্বশেষে ধন্যবাদ জানালাম সর্বশক্তিমান স্রষ্টা ঈশ্বর এবং পিতামাতাকে যাদের মাধ্যমে সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার এই অপার লীলার অংশ হতে পেরেছি l

পরিশেষে একটি কথাই বলা যায় যে --- একজন জ্যোতিষী একজন জাতকের রাশিচক্রে অঙ্কন স্বাপেক্ষে তার সাফল্যের দিক ও সাফল্যের পরিমান বা অসাফল্যের কারণ সাফল্যের সহিত নির্ণয় করতে সক্ষম অর্থাৎ বর্তমান যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞান মনস্কতার যুগেও আমরা যদি বিজ্ঞানের পাশাপাশি জ্যোতিষ শাস্ত্রের সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করি তাতে আমাদের লাভ বই ক্ষতি কিছু নেই l




বিশ্বাস - অবিশ্বাসের দোলাচলে জ্যোতিষ ---


দিনটা ছিল শনিবার, গত বৎসরের সম্ভবত আগস্টের 21 হবে l সকালবেলা বাজার - আড্ডা সেরে বাড়ি ফিরে জলখাবার খেতে বসা মাত্রই বন্ধুপ্রবর সুমনের ফোন --- সন্ধ্যায় বাড়িতে চলে আসিস --- বাবা ডেকেছে, পুজোর ছুটিতে রাজস্থান ভ্রমণের প্রোগ্রাম ছকে ফেলা হবে l খবরটা শুনেই মনটা উৎফুল্য হয়ে উঠল আর জীবটাও যেন জলে ভাসতে লাগলো, কারণ মাসিমার হাতের খাবার এককথায় অসাধারণ l যাই হোক জলখাবার খেয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম l

সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ছটার সময় সুমনদের বাড়ি পৌঁছে গেলাম l পৌঁছে সোজা ড্রয়িং রুমের আড্ডায় --- দেখি সুমন ও মাসিমার সঙ্গে সুমনের ছোট মামাও উপস্থিত l সকলের সাথে কুশল বিনিময় করে বসে পড়লাম l ও সুমনের মামার পরিচয়টা আপনাদের দেওয়া হয় নি --- উনি পেশায় সরকারী বিদ্যালয়ের অংকের শিক্ষক আর নেশায় জ্যোতিষ শাস্ত্রের একজন অনুরাগী এবং অত্যন্ত মিশুকে ও রসিক মানুষ অর্থাৎ যে কোনো পারিবারিক আড্ডার মধ্যমনি l

কথায় কথায় কফি সহযোগে আড্ডা জমে উঠল l হটাৎ মামা বলে উঠলেন চল সকলে মিলে ব্যালকনিতে গিয়ে বসি l আসলে সুমনদের বাড়ির সবচাইতে আকর্ষণীয় জায়গাটি হল পূর্ব দিকের ব্যালকনি --- বাড়ির পরেই কিছুটা ফাঁকা জমি যেটাকে ছোটোখাটো একটা বাগানই বলা চলে তারপর বেশ বড়সড় একটা পুকুর এবং পুকুরের ওপাশে বড় রাস্তা l আমরা উঠে গিয়ে ব্যালকনিতে বসলাম আর মাসিমা রান্নাঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন l ব্যালকনিতে আড্ডা জমে উঠলেও মাঝে মাঝে তাল কেটে দিচ্ছিলো রান্নাঘর থেকে ভেসে আসা মাংস আর লুচির গন্ধ l এমন সময় রান্নাঘর থেকে মাসিমার ডাক --- তোরা একটু এদিকে আয় তো, বুজলাম আরো কিছু পদের আয়োজন চলছে l কথায় কথায় রাত প্রায় আটটা কুড়ি বাজে, রান্নাঘরে যেতেই মাসিমা বললেন নে তোরা হাত ধুয়ে খাওয়ার টেবিলে বসে পড় আর আমিও বেগুনভাজাটা বসিয়ে রেডি করি l রান্নাঘরের বেসিনে হাত ধোবো --- দেখি কলে জল নেই অর্থাৎ ট্যাংক খালি,  এমন সময় কলিং বেলের শব্দ আর মেসোমশাইয়ের গলার আওয়াজ l সুমন দরজার দিকে এগোনো মাত্রই হটাৎ কারেন্ট চলে গেলো আর পরমুহূর্তেই সুমনের আর্তনাদ, অন্ধকারে দরজার চৌকাঠে হোঁচট খেয়ে সুমনের পা কেটে রক্তারক্তি l

আমি গিয়ে সদর দরজা খুলে দিলাম, আমাকে দেখে মেসোমশাই বললেন কি হল সুমনের চিৎকারের কারণ কি ?আমি বললাম অন্ধকারে দরজায় হোঁচট লেগে পা কেঁটে গেছে l মেসোমশাই প্রতুত্তরে বললেন এটাকে নিয়ে আর পারি না --- সবকিছুতেই তাড়াহুড়ো, যাক ও কোনো ব্যাপার না, ছোটোখাটো কাটাছেড়া তো ওর কমন ব্যাপার...

প্রায় মিনিট দশেক বাদে কারেন্ট এলো, সবাই মিলে খাওয়ার টেবিলে বসে পড়লাম l লুচি, বেগুনভাজা আর মাংসের গন্ধে ম ম করছে, বুঝতে পারছি খেতে খেতেই ভ্রমণের আলোচনা শুরু হয়ে যাবে l এমন সময় মেসোমশাই আমাকে বলে উঠলেন  --- শোন কাল রবিবার, সকালেই চলে আসিস আর শালাবাবু আজকের দিনটা থেকে যাও আর ওদেরকে সকাল সকাল চলে আসতে বলো l আগামীকাল সর্ষে ইলিশ আর নয়তো খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা  --- আজ আকাশে মেঘের যা ঘনঘটা মনে হচ্ছে খিচুড়ি ইলিশের উপযুক্ত পরিবেশটা কালকে আমরা পেয়ে যাবো l

---

----

মামার কোনো উত্তর নেই, সকলেই আমরা খাচ্ছি কিন্তু মামাকে কেমন যেন আনমনা লাগছে, মনে হচ্ছে কোনো গভীর চিন্তায় মগ্ন যেন অন্য কোনো জগতে বিচরণ করছে --- সদা হাসিখুশি মামা হটাৎই গম্ভীর হয়ে গেলেন কেন ?

কি মামা খেতে বসে কি মামীর চিন্তা করছেন ?

মামার কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই --- শুধু অস্পষ্ট একটা কথা কানে এলো ---  " something is wrong " ---

খেতে খেতে হটাৎ মামা সুমনকে বললেন --- তোরা কি কোনো গরমের জায়গায় ঘোরার প্ল্যান করছিস ---

সুমন বললো হ্যাঁ রাজস্থান

মামা --- ট্রেনের টিকিট কাঁটা, হোটেল বুকিং, গাড়ি বুকিং সব হয়ে গেছে

সুমন --- না, শুধু টিকিটটাই কাঁটা আছে, হোটেল আর গাড়ি এখনো ফাইনাল করা হয় নি

মামা --- তাহলে এক কাজ কর, আপাততঃ ঘুরতে যাওয়াটা স্থগিত কর

মামার কথা শুনে আমার মনে একটা কথাই ভেসে উঠল " কাবাব মে হাড্ডি " মনে মনে বললাম কোথায় আজ ঘোরার সব প্রোগ্রাম ফাইনাল করার জন্যে বসে আছি, আর আপনি বলছেন সব ক্যানসেল কর l

মেসোমশাই বললেন ঠিক আছে শালাবাবু ডাক্তার নিশ্চয়ই দেখাবো কিন্তু ঘুরতে যেতে অসুবিধা কোথায়...

ইতিমধ্যে এটুকুই শুধু কানে এলো  --- জামাইবাবু আপাততঃ ঘুরতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই আর আপনি অনতিবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন l আর হ্যাঁ রেড মিট, চর্বি জাতীয় খাবার, মসলাদার খাবার খাওয়া বন্ধ করুন l

মনে মনে ভাবছি কি এমন ঘটনা ঘটলো যে, মামা ঘুরতে যেতে বারণ করছে আবার মেসোমশাইকে বলছে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে l যাই হোক কিছুক্ষন থাকার পর ভগ্নমনোরথে বাড়ি ফিরে এলাম l

কয়েকদিন পর হটাৎ সুমনের ফোন ---

শোন টিকিট ক্যানসেল করে দিয়েছি আর বাবার হার্ট এর প্রবলেম ধরা পড়েছে, তুই একবার আসিস l


--- এক্ষেত্রে মেসোমশাইয়ের শরীরস্বাস্থ সম্পর্কিত মামার ফলাদেশকে কি বলবেন আপনারা --- কাকতালীয় না কি একজন অংকের শিক্ষক হিসাবে সঠিক ক্যালকুলেশন ও যুক্তিযুক্ত ভাবেই তিনি ফলাদেশ করেছিলেন  কোনটা ?

না কি মামার ফলাদেশ কি জ্যোতিষ শাস্ত্রের অনুশাসন অনুসারে করা হয়েছিল ?

কি মনে হয় আপনাদের ?





This is one of the stage of how to learn Vedic and Modified KP Astrology.


If you want to know more about Astrology lesson ---


Please comments and to get early notifications --- follow and share this article.








কোন মন্তব্য নেই: