learn vedic Astrology লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
learn vedic Astrology লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

Rullings of education in KP Astrology

         LEARN KP ASTROLOGY 

    (  Education in Astrology)

           Lesson 3   ( part - 1)

Rullings of education in KP Astrology

জ্যোতিষে বিদ্যাশিক্ষার বিচার করা হয় মূলত চতুর্থ ভাব ও বুধ হতে ---

শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যে সব প্রশ্ন ওঠে তা হল ---

* জাতক বিদ্যাশিক্ষায় মনোযোগী হবে কি না?

* জাতকের বিদ্যাশিক্ষার সম্ভবনা আছে কি না?

* জাতকের প্রাথমিক না উচ্চশিক্ষা --- কোনটা হবে?

* জাতক বিদ্যাশিক্ষায় বৃত্তি লাভ করবে কি না?

* জাতক উচ্চশিক্ষার জন্যে বিদেশ যাবে কি না?

* জাতক কোন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করবে?

চতুর্থ ভাব হতে যে যে বিষয়ের বিচার করা হয় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল --- মাতা, জমি-বাড়ী, গাড়ি ও প্রাথমিক শিক্ষা l প্রত্যেকটি বিষয়ের বিচারের জন্যে চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করতে হয় l চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহ ও তাহার সহিত সম্পর্কিত গ্রহদের নির্দেশনা থেকে উপরিউক্ত বিষয়গুলির বিচার করা হয় l

এক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয় বিদ্যাশিক্ষা, বিদ্যাশিক্ষার কারক গ্রহ বুধ ও বৃহস্পতি l অর্থাৎ চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহটি বুধ বা বৃহস্পতি হলে অথবা সাবলর্ড গ্রহটি বুধ বা বৃহস্পতির নক্ষত্রে অবস্থিত হলে বা গ্রহটির সাবপতি বুধ বা বৃহস্পতি হলে অথবা চতুর্থ ভাবষ্ফুটের সাবলর্ড গ্রহটি কোনওপ্রকারে বুধ বা বৃহস্পতির সহিত সম্পর্কিত হলে, বিদ্যাশিক্ষার নির্দেশক হয় l চতুর্থ ভাব হতে প্রাথমিক শিক্ষা, নবম ভাব হতে উচ্চশিক্ষার বিচার করা হয় l

4 th cuspal sublord  ও 9 th cuspal sublord গ্রহ কোনোপ্রকারে বুধের সহিত সম্পর্কিত হয়ে 11 th cuspal sublord গ্রহের সহিত সম্পর্কিত হলে অর্থাৎ 4 -11/ 4-9-11 র নির্দেশক হলে জাতকের বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য লাভ হয় l

চতুর্থ ভাবের সহিত ষষ্ঠ ভাব এবং একাদশ ভাবের সম্পর্ক থাকলে জাতক বিদ্যাশিক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবে l চতুর্থ, নবম  ও একাদশ ভাবের সহিত কোনও ভাবে সম্পর্কিত গ্রহ বিদ্যাদান করে l

 4 th cuspal sublord গ্রহের নির্দেশক কোনও প্রকারে 4, 11, 3, 5, 8 হলে জাতকের বিদ্যার্জনে সাময়িক বিরতি আসতে পারে l কারণ ---

*  3 য়, 5 ম, 8ম ভাবস্থ গ্রহ

* 3 য়, 5 ম, 8ম ভাবপতির নক্ষত্রস্থিত গ্রহ

* 3 য়, 5 ম, 8ম ভাবস্থ গ্রহের নক্ষত্রে অবস্থিত গ্রহ

* 3 য়, 5 ম, 8ম  ভাব নির্দেশক গ্রহের দশান্তর্দশায় জাতকের বিদ্যাশিক্ষায় বিরতি আসতে পারে l 3 য়, 5 ম, 8ম ভাব নির্দেশক গ্রহ বিদ্যাশিক্ষায় বাধা প্রদান করে l




Related House and planet for education


বিদ্যাশিক্ষার বিচার হয় মূলত 4 th ভাব ও বুধ থেকে l কিন্তু শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের আলোচনার জন্যে বুধ ছাড়াও বৃহস্পতি, চন্দ্রকেও পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন হয় l চন্দ্র, বুধ, বৃহস্পতি হল বিদ্যাকারক গ্রহ l এছাড়াও প্রত্যেকটি গ্রহই বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত l

শিক্ষা ক্ষেত্রে গ্রহদের কি ভূমিকা  ---

চন্দ্র --- শিক্ষার ইচ্ছা, শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি

বৃহস্পতি --- উচ্চশিক্ষা ও জ্ঞানলাভ

রবি --- মেধা, প্রতিভা, বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে সন্মান

শুক্র --- শুক্র হল শুভগ্রহ, যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত যুক্ত ভাবগুলির ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় সেক্ষেত্রে কলা, শিল্প, রসায়নবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে আগ্রহ ও সাফল্য প্রদান করে l

মঙ্গল --- মঙ্গল যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত সম্পর্কিত ভাবগুলির ও একাদশের নির্দেশক  হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যার্থীর পূর্ণ উদ্যম ও উদ্দীপনার মাধ্যমে স্বীয় প্রচেষ্টায় বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করে ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে l

শনি --- প্রথাগত শিক্ষায় শনির গুরুত্ব না থাকলেও শনি যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাব ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় তবে জাতক ধৈর্য,পরিশ্রম ও একাগ্রতার দ্বারা বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হন l শুভ শনি জাতকের অধ্যাত্বিকতা ও দর্শন শাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ সহায়ক l

বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে রাহুর গুরুত্ব  ---

রাহু --- বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে সবচাইতে ক্ষতিকারক অথচ গুরুত্বপূর্ণ  গ্রহটির নাম রাহু l যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির নির্দেশক হয়ে অশুভ স্পন্দন যুক্ত হয়            ( বিশেষত অষ্টম বা দ্বাদশের) বা অশুভ ভাবের নির্দেশক হয়ে বুধ বা চন্দ্রের সহিত সম্পর্কিত হয় তবে বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, চাঞ্চল্য ও বিশৃঙ্খলার কারক গ্রহ হিসাবে জাতককে বিদ্যাশিক্ষায় মনোনিবেশ করতে বাধা প্রদান করে এবং অসৎ সঙ্গদোষে বিদ্যার্জনে চ্ছেদও ঘটতে পারে l আর শুভ হলে অর্থাৎ বিদ্যাশিক্ষার সহযোগী ভাবের ও একাদশের জোরালো নির্দেশক হলে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় বিশেষ করে ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার নিয়ে উচ্চশিক্ষার সহায়ক হয়ে ওঠে যদি শুভ শনি বা বৃহস্পতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় l বর্তমান বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে রাহু ব্যাতিত সকল অগ্রগতি অচল তবে রাহু যেমন সাফল্য দেয় ঠিক সাফল্যের পাশাপাশি জাতককে কিছু দোষত্রুটিও ফ্রি হিসাবে দিয়ে দেয় যা তাঁদের ক্ষেত্রে সুখশান্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় l

কেতু --- কারকতা প্রধানত বাধাপ্রদান হলেও বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির শুভ নির্দেশক ও একাদশের নির্দেশক হলে অঙ্কশাস্ত্রে, জ্যোতিষ শাস্ত্রে অসাধারণ বুৎপত্তি প্রদান করে l


এবার দেখা যাক বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ভাবের ভূমিকা ---

লগ্নভাব = সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল খুঁটিস্বরূপ l লগ্ন জাতকের কৃতিত্বের ও প্রতিষ্টার কারক, লগ্নের sublord নির্দেশ করে জাতক অলস না পরিশ্রমী l

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, চতুর্থ ভাবের একাদশ স্থান বা চতুর্থ ভাবের পূর্তিস্থান l

তৃতীয়ভাব = বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনায় মনোযোগ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা, ও উদ্যম নির্দেশ করে l তৃতীয় ভাব চতুর্থ ভাবের দ্বাদশ স্থান হিসাবে বিদ্যাশিক্ষার বিরতি সূচক l বিশেষ বিষয়ে আগ্রহ বা পত্রাচার মাধ্যমে বিদ্যাশিক্ষার নির্দেশকও l

চতুর্থ ভাব = প্রাথমিক শিক্ষা, স্মৃতিমূলক বিদ্যা, বিদ্যালয় বা কলেজে নিয়মিত উপস্হিতির মাধ্যমে শিক্ষালাভ নির্দেশ করে l

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা নির্দেশ করে l

ষষ্ঠভাব = উপচয় ভাব, শ্রমের নির্দেশক, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য নির্দেশ করে l

নবম ভাব = উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা নির্দেশ করে l

একাদশ ভাব = প্রচেষ্টায় সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ নির্দেশ করে l

অর্থাৎ জাতকের বিদ্যাশিক্ষার বিচারের ক্ষেত্রে লগ্ন, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ট, নবম ও একাদশ ভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ l


একজন সংগীত শিল্পীর

সংগীতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভাবসমূহ ---

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, পঞ্চমভাবের দশমস্থান বা

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা, কল্পনা, শিল্পীসুলভ প্রতিভা, খেলাধুলা, গানবাজনা, রুচি ও সৌন্দর্যবোধ প্রভৃতি

একাদশভাব = প্রচেষ্টার সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ

তৃতীয়ভাব = মনোযোগ, একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি, মানসিক প্রবণতা নির্দেশ করলেও সংগীত চর্চার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তৃতীয় ভাব নির্দেশিত শরীরের অংশে গলা

দশম ভাব = কর্ম, জীবিকা, পেশা, নাম- যশ -খ্যাতি

বর্তমান সময়কালে শিশুসন্তান বিশেষত কন্যাসন্তানের ক্ষেত্রে ( পুত্রসন্তানের ক্ষেত্রে option গুলি একটু পৃথক আর আলোচনাও অন্যত্র করা যাবে ) পিতামাতার ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকে শিশুকাল থেকেই বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি তাকে নাচ শেখানো বা গান শেখানো বা সাঁতার শেখানো সঙ্গে অঙ্কন শিক্ষা তো আছেই যদিও অঙ্কন শিক্ষা বর্তমানে বিদ্যাশিক্ষা চর্চার একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে এবং  বর্তমানে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির কনসেপ্টে সন্তানের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অঙ্কনের গুরুত্ব অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই l তবে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করলে আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন যে অধিকাংশ পিতামাতাই তাদের জীবনের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলিকে সন্তানের মধ্যে দিয়ে পরিপূরণে উদ্যোগী হন বা  সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার নিমিত্তে সন্তানকে রোবট কল্পনা করে বা পরীক্ষা নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে সন্তানকে গিনিপিক বানিয়ে সাফল্যের ইঁদুর দৌঁড়ে সামিল করে দেন l সাফল্যের পিছনে ছুটতে গিয়ে সন্তানের ইচ্ছা, চাহিদা, আবদার, ভালোবাসা নামক শব্দগুলির সাথে শৈশবটাও হারিয়ে যায় l বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিতামাতা সাফল্যের তাড়নায় একটি শিশুর দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানের ভালোলাগা বা চাহিদার হিসাব করতে ব্যার্থ হন ফলস্বরূপ সন্তান অবাধ্য, বিদ্যাশিক্ষায় অমনোযোগী, মানসিক অবসাদ, জেদী, behavioral problem , সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্তি, একাকিত্ব বোধ প্রভৃতি সমস্যার সূত্রপাত l

অতঃপর পিতামাতার ছোটাছুটি শুরু হয় মনোবিদের কাছে ( psychiatrist ) নয়তো জ্যোতিষীর কাছে l শুরু হয় counseling, test, medicine ---

আর জ্যোতিষীর ক্ষেত্রে সমস্যা আরো জটিল  --- অধিকাংশ পিতামাতাই সরাসরি জ্যোতিষী মহাশয়ের নিকট আবেদন করে বসেন যেভাবেই হোক সমস্যার সমাধান করে দিন l

মজাটা এখানেই --- " কি ভাবেন  একজন জ্যোতিষীকে ---  মানুষ না ঈশ্বরের সমতুল্য কোনো ব্যাক্তি না কি ঈশ্বরেরও উর্দ্ধে "

একজন জ্যোতিষীও মানুষ --- জ্যোতিষ শাস্ত্র চর্চাটা তার কাছে একপ্রকার সাধনা, তিনিও সর্বশক্তিমান স্রষ্টা ঈশ্বরে সমর্পিত...

একজন জ্যোতিষীর প্রাথমিক ও প্রধান কাজই হল জাতকের রাশিচক্র অঙ্কন স্বাপেক্ষে তার ভবিষ্যত জীবনের সঠিক রূপরেখা নির্দেশ করে সাফল্য প্রাপ্তির নিমিত্তে প্রারব্ধ কর্মফল স্বাপেক্ষে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যাবলী (গুণাবলীকে) নির্দেশ করা ও তার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সাফল্য প্রাপ্তির জন্যে প্রয়োজনীয় counseling করা l

অর্থাৎ একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষী অনায়াসেই কোনো জাতকের জন্মবৃত্তান্ত বা প্রশ্ন স্বাপেক্ষে তার ভবিষ্যত জীবনের সাফল্য প্রাপ্তির পথ বা দিকটি নির্দেশ করতে পারেন l

আসুন দেখা যাক কিভাবে ---

ধরা যাক একটি কন্যা সন্তান l জন্মের পরেই সকল পিতামাতাই স্বচেষ্ট হয়ে ওঠেন ডাক্তারের পরামর্শ মতন সন্তানকে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বড় করে তুলতে এবং এটি প্রত্যেক পিতামাতারই অবশ্যকর্তব্য l ইতিমধ্যে সন্তানকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় পিতামাতার স্বপ্ন দেখা, সন্তানকে মানুষ করার পাশাপাশি তাকে সফল দেখতে কে না চায় ? অবচেতন স্বত্তায় নিজেদের অপরিপূর্ণ ইচ্ছাগুলি সন্তানের মধ্যে দিয়ে সাফল্যমন্ডিত করার এক সুপ্ত প্রয়াস পিতামাতার মধ্যে সৃষ্টি হয় l অর্থাৎ ভালো লেখাপড়া, গানবাজনা, নাচ, খেলাধুলা সবেতেই সন্তানকে সফল হতে হবে l সাফল্য - আরো সাফল্য - আরো আরো সাফল্যের তাড়নায় সন্তানের লড়াইটা কখন যেন পিতামাতার লড়াইয়ে রূপান্তরিত হয়ে যায় l ফলস্বরূপ সন্তানের ভালোলাগা- মন্দলাগা বিষয়গুলি আর প্রাধান্য পায় না, এমতবস্থায় পিতামাতারও আর একটি শিশুর দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তানের পছন্দ - অপছন্দ, ভালোলাগা- মন্দলাগা র বিষয়গুলিকে গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করেন না l জানতেই চান না বা জানার আর অবকাশই থাকে না যে সন্তান কোন বিষয়ে সাবলীল বা কোন বিষয়টার সাথে তার ভালোলাগার প্রলেপ জড়িয়ে আছে, ফলস্বরূপ হতাশা, মানসিক অবসাদ...

আলোচনাটি যেহেতু জ্যোতিষ শাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে তাই আমি আলোচনাটি জ্যোতিষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছি ---

আপনি চাইছেন সন্তান নাচ শিখুক, গান শিখুক, সাঁতার শিখুক এবং অঙ্কনেও পারদর্শী হোক, এর সাথে সাথে লেখাপড়ায়ও rank করুক l

যদি বলি কেন ? সন্তানকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে না কি আপনাদের অপরিপূর্ণ ইচ্ছাগুলোকে সফলতার সাথে পূর্ণ হতে দেখার জন্যে না কি সন্তানের সাফল্যে অন্যদের comments শুনে আত্মতৃপ্তি লাভের উদ্দেশ্যে --- কোনটা সঠিক না কি সবকটিই ?

এক্ষেত্রে একটি কথা কিন্তু আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত সফল মানুষ হওয়ার চাইতেও জরুরি প্রকৃত মানুষ হওয়া l

ফিরে আসি পূর্বোক্ত আলোচনায়---

প্রথমে আসি বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্যের জন্যে কি প্রয়োজন ---

বিদ্যাশিক্ষার বিচার করা হয় চতুর্থ ভাব ও নবম ভাব হতে l চতুর্থ ভাব নির্দেশ করে প্রাথমিক শিক্ষা এবং নবম ভাব নির্দেশ করে উচ্চশিক্ষা l সহায়ক ভাব হিসাবে দ্বিতীয় ভাব,  তৃতীয় ভাব, পঞ্চম ভাব, ষষ্ঠ ভাব ও একাদশ ভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে l

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, চতুর্থ ভাবের একাদশ স্থান বা চতুর্থ ভাবের পূর্তিস্থান l

তৃতীয়ভাব = বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনায় মনোযোগ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা, ও উদ্যম নির্দেশ করে l তৃতীয় ভাব চতুর্থ ভাবের দ্বাদশ স্থান হিসাবে বিদ্যাশিক্ষার বিরতি সূচক l বিশেষ বিষয়ে আগ্রহ বা পত্রাচার মাধ্যমে বিদ্যাশিক্ষার নির্দেশকও l

চতুর্থ ভাব = প্রাথমিক শিক্ষা, স্মৃতিমূলক বিদ্যা, বিদ্যালয় বা কলেজে নিয়মিত উপস্হিতির মাধ্যমে শিক্ষালাভ নির্দেশ করে l

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা নির্দেশ করে l

ষষ্ঠভাব = উপচয় ভাব, শ্রমের নির্দেশক, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য নির্দেশ করে l

নবম ভাব = উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা নির্দেশ করে l

একাদশ ভাব = প্রচেষ্টায় সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ নির্দেশ করে l

এবার আসি গ্রহ সম্পর্কে ---

বিদ্যাশিক্ষার কারক গ্রহ বুধ, এছাড়া বৃহস্পতি ও চন্দ্রের ভূমিকা অপরিসীম l প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রহেরই কোনো না কোনো ভূমিকা থাকে l


চন্দ্র --- শিক্ষার ইচ্ছা, শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি

বৃহস্পতি --- উচ্চশিক্ষা ও জ্ঞানলাভ

রবি --- মেধা, প্রতিভা, বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে সন্মান

শুক্র --- শুক্র হল শুভগ্রহ, যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত যুক্ত ভাবগুলির ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় সেক্ষেত্রে কলা, শিল্প, রসায়নবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে আগ্রহ ও সাফল্য প্রদান করে l

মঙ্গল --- মঙ্গল যদি বিদ্যাশিক্ষার সহিত সম্পর্কিত ভাবগুলির ও একাদশের নির্দেশক  হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যার্থীর পূর্ণ উদ্যম ও উদ্দীপনার মাধ্যমে স্বীয় প্রচেষ্টায় বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করে ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে l

শনি --- প্রথাগত শিক্ষায় শনির গুরুত্ব না থাকলেও শনি যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাব ও একাদশ ভাবের নির্দেশক হয় তবে জাতক ধৈর্য,পরিশ্রম ও একাগ্রতার দ্বারা বিদ্যার্জনে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হন l শুভ শনি জাতকের অধ্যাত্বিকতা ও দর্শন শাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ সহায়ক l

রাহু --- বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে সবচাইতে ক্ষতিকারক অথচ গুরুত্বপূর্ণ  গ্রহটির নাম রাহু l যদি বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির নির্দেশক হয়ে অশুভ স্পন্দন যুক্ত হয়            ( বিশেষত অষ্টম বা দ্বাদশের) বা অশুভ ভাবের নির্দেশক হয়ে বুধ বা চন্দ্রের সহিত সম্পর্কিত হয় তবে বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, চাঞ্চল্য ও বিশৃঙ্খলার কারক গ্রহ হিসাবে জাতককে বিদ্যাশিক্ষায় মনোনিবেশ করতে বাধা প্রদান করে এবং অসৎ সঙ্গদোষে বিদ্যার্জনে চ্ছেদও ঘটতে পারে l আর শুভ হলে অর্থাৎ বিদ্যাশিক্ষার সহযোগী ভাবের ও একাদশের জোরালো নির্দেশক হলে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় বিশেষ করে ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার নিয়ে উচ্চশিক্ষার সহায়ক হয়ে ওঠে যদি শুভ শনি বা বৃহস্পতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় l বর্তমান বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে রাহু ব্যাতিত সকল অগ্রগতি অচল তবে রাহু যেমন সাফল্য দেয় ঠিক সাফল্যের পাশাপাশি জাতককে কিছু দোষত্রুটিও ফ্রি হিসাবে দিয়ে দেয় যা তাঁদের ক্ষেত্রে সুখশান্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় l

কেতু --- কারকতা প্রধানত বাধাপ্রদান হলেও বিদ্যাশিক্ষার সহায়ক ভাবগুলির শুভ নির্দেশক ও একাদশের নির্দেশক হলে অঙ্কশাস্ত্রে, জ্যোতিষ শাস্ত্রে অসাধারণ বুৎপত্তি প্রদান করে l

আমরা তাহলে কি দেখতে পেলাম ---

বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য = 4+9+11+বুধ

4 th cuspal sublord  ও 9 th cuspal sublord গ্রহ কোনোপ্রকারে বুধের সহিত সম্পর্কিত হয়ে 11 th cuspal sublord গ্রহের সহিত সম্পর্কিত হলে অর্থাৎ 4 -11/ 4-9-11 র নির্দেশক হলে জাতকের বিদ্যাশিক্ষায় সাফল্য লাভ হয় l

চতুর্থ ভাবের সহিত ষষ্ঠ ভাব এবং একাদশ ভাবের সম্পর্ক থাকলে জাতক বিদ্যাশিক্ষায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবে l চতুর্থ, নবম  ও একাদশ ভাবের সহিত কোনও ভাবে সম্পর্কিত গ্রহ বিদ্যাদান করে l

আপনি সন্তানকে গানও শেখাতে চান অর্থাৎ

সংগীতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভাবসমূহ ---

দ্বিতীয় ভাব = মুখমন্ডল অর্থাৎ বাকস্থান, পঞ্চমভাবের দশমস্থান বা

পঞ্চমভাব = বুদ্ধি, সৃষ্টিমূলক কর্ম, সৃজনশীলতা, কল্পনা, শিল্পীসুলভ প্রতিভা, খেলাধুলা, গানবাজনা, রুচি ও সৌন্দর্যবোধ প্রভৃতি

একাদশভাব = প্রচেষ্টার সাফল্য, ইচ্ছাপূরণ

তৃতীয়ভাব = মনোযোগ, একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি, মানসিক প্রবণতা নির্দেশ করলেও সংগীত চর্চার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তৃতীয় ভাব নির্দেশিত শরীরের অংশে গলা

দশম ভাব = কর্ম, জীবিকা, পেশা, নাম- যশ -খ্যাতি

এবার আসা যাক সংগীতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ  সম্পর্কে ---



Rullings of education in KP র পরবর্তী অংশ  lesson 3  (part 2) তে প্রকাশিত হবে


If you want to know more about Astrology lesson ---

Please comments and to get early notifications --- follow and share the article.